আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের কারণেই এই বৃষ্টিপাত। রবিবার থেকে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ আরও বাড়বে বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।
টানা বৃষ্টিতে মাটির দেওয়াল চাপা পড়ে বাঁকুড়ায় মৃত্যু হয়েছে তিন শিশুর। শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর থানার বোড়ামারা গ্রামে। জানা গেছে, মৃত তিন শিশুর নাম রোহন সর্দার (৫), নিশা সর্দার (৪) এবং অঙ্কুশ সর্দার (৩)। কাঁচা বাড়ির পাশে খেলছিল তিনজন।
বৃহস্পতিবার রাত থেকেই পূর্ব মেদিনীপুর, কলকাতা, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বেশকিছু জায়গায় বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। শুক্রবার রাত থেকে বৃষ্টির পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, বৃষ্টি এখনই থামার নয়। উত্তর বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়েছে। সেই নিম্নচাপ ক্রমশ শক্তি বাড়াচ্ছে। যার জেরে মঙ্গলবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সতর্কতা দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।
শনিবার কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। মুর্শিদাবাদ, পূর্ব বর্ধমান, বাঁকুড়াতেও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। যা চলবে আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত। ৭-১১ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দার্জিলিং, কালিম্পং ও আলিপুরদুয়ারে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। মৎস্যজীবীদের মঙ্গলবার পর্যন্ত সমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আবহাওয়া দপ্তর।
অন্যদিকে ভারী বৃষ্টির জেরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগর, নামখানা, কাকদ্বীপ, সুন্দরবন সহ বেশকিছু এলাকায় হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বেশকিছু এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সপকাল পর্যন্ত সুন্দরবন এলাকায় প্রায় ৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। প্রশাসনের তরফে সমস্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্র থেকে ফিরে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নদী বাঁধগুলির অবস্থা খারাপ থাকায় রীতিমতো আতঙ্কে রয়েছে ওই অঞ্চলের গ্রামবাসীরা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন