হাইকোর্টে খারিজ হয়ে গেল শুভেন্দু অধিকারীর নির্বাচনের দিন গতিবিধি সংক্রান্ত আবেদন। ফলে নির্বাচন কমিশনের নোটিশ অনুযায়ী ভোটের দিন নিজের ভোটকেন্দ্রের বাইরে বেরোতে পারবেন না রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
রাজ্য নির্বাচনের জারি করা নির্দেশিকাকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। মামলাটি ওঠে বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে। শুক্রবার তিনি বলেন, নির্বাচনের দিন বিরোধী দলনেতা কেবল নিজের ভোটকেন্দ্রেই থাকবেন। অন্য কোনো জায়গার বুথে বুথে ঘুরতে পারবেন না।
শুভেন্দুর অভিযোগ, নির্বাচনের দিন তাঁর গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে নির্বাচন কমিশন ও রাজ্য পুলিশ। তিনি এর আগে বলেছিলেন, মানুষ যেখানে আক্রান্ত হবে সেখানে তিনি যাবেন। মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য তাঁকে যেতে হবে। তিনিও আইন জানেন।
বৃহস্পতিবার কাঁথি থানার তরফ থেকে শুভেন্দুকে নোটিস দেওয়া হয়। তাতেই লেখা ছিল নন্দীগ্রামের বাইরে তিনি বেরোতে পারবেন না। নিজের বিধানসভা এলাকাতে ঘুরতেও পারবেন না। মূলত নির্বাচন কমিশনের নির্দেশেই এই নোটিশ দেয় পুলিশ।
রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দাবি, কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে উদ্দেশ্য করে নোটিশ দেওয়া হয়নি। শাসক বিরোধী উভয় দলের বিধায়কদের জন্য একই নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এই নির্দেশিকা প্রতি নির্বাচনেই জারি করা হয়ে থাকে।
প্রসঙ্গত গত ৪ জুলাই রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়। তাতে বলা হয়, যে সকল রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব কেন্দ্র বা রাজ্যের নিরাপত্তা পান তাঁরা পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন নিজের বুথ ছাড়া অন্য বুথে ঘুরতে পারবেন না। এমনকি কোনো নিরাপত্তা রক্ষী নিয়েও ঢোকা যাবে না। শুধুমাত্র Z+ নিরাপত্তা যাঁরা পান তাঁরা একজন নিরাপত্তা রক্ষী নিয়ে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারেন। ভোট দেওয়ার পরই ওই ব্যক্তিকে দ্রুত ভোটকেন্দ্র ছাড়তে হবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন