ধর্মতলায় অবস্থানে জুনিয়র চিকিৎসকরা
ধর্মতলায় অবস্থানে জুনিয়র চিকিৎসকরা নিজস্ব চিত্র

Junior Doctors Protest: ভাঙছে শরীর, তবুও অনশনে অনড় জুনিয়র চিকিৎসকরা! ১৩ দিন পার, কেমন আছেন তাঁরা?

People's Reporter: অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন কলকাতার চারজন এবং উত্তরবঙ্গের দু’জন জুনিয়র চিকিৎসক। তবুও কলকাতা ও উত্তরবঙ্গ মিলিয়ে অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন আরও আটজন জুনিয়র চিকিৎসক।
Published on

ভাঙছে শরীর, তবুও নিজেদের ১০ দফা দাবি নিয়ে অনশনে অনড় জুনিয়র চিকিৎসকরা। আজ তাঁদের আমরণ অনশনের ১৩ দিনে পড়েছে। অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন কলকাতার চারজন এবং উত্তরবঙ্গের দু’জন জুনিয়র চিকিৎসক। তবুও কলকাতা ও উত্তরবঙ্গ মিলিয়ে অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন আরও আটজন জুনিয়র চিকিৎসক।

গত ৫ অক্টোবর রাত সাড়ে আটটা থেকে ধর্মতলায় আমরণ অনশন শুরু করেছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। আজ তাঁদের অনশনের ১৩ দিন। এরপর পরবর্তীতে যোগ দিয়েছেন আর জি করের জুনিয়র চিকিৎসক অনিকেত মাহাতো। গত ১১ অক্টোবর থেকে যোগ দেন আরও দুই জুনিয়র চিকিৎসক আলোলিকা ঘোড়ই এবং পরিচয় পাণ্ডা। মঙ্গলবার বিকাল থেকে অনশনে যোগ দিয়েছেন স্পন্দন চৌধুরী এবং রুমেলিকা কুমার।

এদের মধ্যে চারজন ইতিমধ্যেই হাসপাতালে ভর্তি। অনিকেত মাহাতো, অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়, পুলস্ত্য আচার্য, তনয়া পাঁজা। যাঁদের মধ্যে কিছুজনের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলেও এখনও কেউই ছাড়া পাননি হাসপাতাল থেকে। বর্তমানে ধর্মতলায় অনশন চালাচ্ছেন ছ’জন চিকিৎসক। যার মধ্যে স্নিগ্ধা, অর্ণব এবং সায়ন্তনী অনশনমঞ্চে একে বারে শুরুর দিন থেকে রয়েছেন। বুধবার রাতে ধর্মতলায় অনশনকারীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। কে কেমন আছেন?

অর্ণব মুখোপাধ্যায়:

রক্তচাপ: ১২০/৯০

নাড়ির গতি: ৮৮

সিবিজি: ৬৪

মূত্রে মিলেছে কিটোন বডি

সায়ন্তনী ঘোষ হাজরা:

রক্তচাপ: ১১০/৭৮

নাড়ির গতি: ৮০

সিবিজি: ৬৪

মূত্রে মিলেছে কিটোন বডি

স্নিগ্ধা হাজরা:

রক্তচাপ: ৯৮/৭৮

নাড়ির গতি: ৮২

সিবিজি: ৬৩

মূত্রে মিলেছে কিটোন বডি

পরিচয় পাণ্ডা:

রক্তচাপ: ১২৬/৮০

নাড়ির গতি: ৮৪

সিবিজি: ৭৩

মূত্রে মিলেছে কিটোন বডি

আলোলিকা ঘোড়ুই:

রক্তচাপ: ১০০/৭০

নাড়ির গতি: ৯২

সিবিজি: ৬৪

মূত্রে মিলেছে কিটোন বডি

রুমেলিকা কুমার:

রক্তচাপ: ১০০/৭০

নাড়ির গতি: ৭০

সিবিজি: ৮৬

স্পন্দন চৌধুরী:

রক্তচাপ: ১০৮/৮২

নাড়ির গতি: ৭২

সিবিজি: ৮৪

অন্যদিকে, ৬ অক্টোবর থেকে অনশন শুরু করেন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের দুই জুনিয়র চিকিৎসক – অলোক বর্মা এবং সৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর গত ১৪ অক্টোবর থেকে অনশনে যোগ দেন সন্দীপ মণ্ডল। আলোক এবং সৌভিক বর্তমানে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি। বুধবার দুপুরের তথ্য অনুযায়ী, সন্দীপের রক্তচাপ ১৩০/৭৮, নাড়ির গতি ১০২ এবং সিবিজি ৪৮ ছিল।

১০ দফা দাবি না মেটা পর্যন্ত অনশনে অনড় জুনিয়র চিকিৎসকরা। কবে সাড়া দেবে রাজ্য? কবে কাটবে এই অচলাবস্থান? যা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। এই বিষয়ে অনশনকারী জুনিয়র চিকিৎসক রুমেলিকা কুমার সংবাদ মাধ্যমে উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, “টানা যারা অনশন করে চলেছেন তাঁদের শরীরের অবস্থা দেখে উদ্বিগ্ন আমি একজন চিকিৎসক হয়ে। প্রশাসন এখনও উদ্বিগ্ন হতে পারছে না বরং নির্বিকার হয়ে রয়েছে। তাঁরা ব্যস্ত কার্নিভালে। এই অব্যবস্থার বিরুদ্ধে রুখে না দাঁড়ালে নিজের বিবেকের কাছে কী জবাব দেব? সরকার বলছে এই দাবিতে ভুল নেই। দাবি মিটিয়ে দিতে এত দেরি কেন?”

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in