কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির অতিসক্রিয়তা সম্পর্কে মোদী কিছু জানেন না। এমনটাই বিশ্বাস মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। যা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে ইতিমধ্যে চাপানউতোর শুরু হয়ে গেছে।
এদিন বিধানসভায় কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার অতি সক্রিয়তার বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব এনেছিল সরকার। ১৮৯-৬৪ ভোটে এই প্রস্তাব পাশ হয়। প্রস্তাব পাসের সময় বিতর্ক চলাকালীন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "ইডি-সিবিআই নিরপেক্ষ তদন্ত করুক তাতে কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু বেছে বেছে শাসক দলের বিধায়কদের বাড়ীতেই কেন সিবিআই-ইডি হানা দিচ্ছে? বিজেপি নেতাদের বাড়িতে গেলেও টাকা পাওয়া যাবে।"
তিনি এও বলেন, "বর্তমানে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি প্রধানমন্ত্রীর অধীনে থাকে না। এইগুলির দায়িত্বে থাকেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তাই আমার বিশ্বাস নরেন্দ্র মোদী এই বিষয়ে অনেক কিছুই জানেন না। কলকাতায় ২১টা রেড করেছে ইডি। এক মাসে ১০৮টা কেস করেছে ইডি সিবিআই। আমি বিশ্বাস করি না নরেন্দ্র মোদী এটা করেছেন। সবটাই হচ্ছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও রাজ্যের বিজেপি নেতাদের নির্দেশে।"
বিজেপির উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, "আমরা ক্রীতদাস সরকার নই। আমাদেরকে বার বার হুমকি দেওয়া হচ্ছে যে আপনার সরকার ডুবু ডুবু হচ্ছে আপনি থাকবেন না। টাকা দিয়ে সবকিছু করা হচ্ছে। রাজ্যের বিজেপি নেতাদের অনেকের বাড়িতে হানা দিলে প্রচুর টাকা পাওয়া যাবে। কে কটা ট্রলারের মালিক সব আমি জানি।"
মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্য প্রসঙ্গে সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, 'মমতা সব সময় এইভাবেই রাজনীতি করেছে। এক সময় বলত কেরালার সিপিআইএম ভালো বাংলার সিপিআইএম খারাপ। এখন বিপদে পড়েছে তাই মোদী আর মোহন ভগবতের কাছে ছুটে যাচ্ছে। দু’দিন পর অমিত শাহের কাছে যাবে। তৃণমূলের চুরি-দুর্নীতি ধরা পড়ে গেছে। তৃণমূলের এই দুর্নীতি বাড়ত না যদি না মাথার ওপর আরএসএস বা বিজেপির হাত থাকত।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন