নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে প্রায় ৩ ঘন্টা জেরা করা হলো 'কালীঘাটের কাকু' সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে। সূত্রের খবর, সিবিআই জেরাতে কুন্তল ঘোষ ও শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে চেনেন বলেই দাবি করেছেন সুজয় ভদ্র।
বুধবার কলকাতায় সিবিআই দপ্তরে হাজিরা দেন 'কালীঘাটের কাকু'। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে কুন্তল ঘোষ, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাপস মণ্ডলের বয়ানের সাথে সুজয় ভদ্রের বয়ান মিলিয়ে দেখতে চান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা। সেই উদ্দেশ্যেই আজকে তলব করা হয়েছিল তাঁকে। সুজয় ভদ্র বলেন, তাঁকে মঙ্গলবার সাড়ে ৬টার সময় সিবিআই একটি নোটিশ পাঠিয়ে হাজিরার নির্দেশ দেন।
সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, সুজয় ভদ্রকে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন করা হয়। যার মধ্যে ছিল নিয়োগ দুর্নীতির সাথে তিনি যুক্ত কিনা? কুন্তল ঘোষ ও শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে চেনেন কিনা? প্রশ্নের উত্তরে 'কালীঘাটের কাকু' জানান, তিনি রাজনৈতিক ভাবে কুন্তল ও শান্তনুকে চেনেন। আর নিয়োগ দুর্নীতির সাথে কোনো সম্পর্ক নেই তাঁর। কোনো আর্থিক লেনদেনও হয়নি।
সিবিআই সূত্রে খবর, তদন্তে সুজয় ভদ্রের সাথে ৫-৬টি কোম্পানির যোগসূত্র মিলেছে। এই কোম্পানিগুলির সাথে কী সম্পর্ক সুজয়বাবুর তাও খতিয়ে দেখা হবে। বয়ানে অসংগতি মিললে আবার হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হতে পারে সুজয় ভদ্রকে।
এর আগে তাপস মণ্ডল, গোপাল দলপতি, কুন্তল ঘোষের মুখেই শোনা যায় 'কালীঘাটের কাকু'-র নাম। গোপাল দলপতি একাধিক সংবাদমাধ্যমে বলেছিলেন, কুন্তলের মুখেই তিনি 'কালীঘাটের কাকু'র নাম শুনেছিলেন। এই কালীঘাটের কাকুকেই টাকা দেওয়ার কথা বলতেন কুন্তল ঘোষ। কুন্তলও সংবাদমাধ্যমে এক কালীঘাটের কাকুকে নিয়োগ সংক্রান্ত টাকা দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন