তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা প্রতারণার অভিযোগ নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করলেন অভিনেত্রী সাংসদ নুসরত জাহান। তাঁর দাবি, তিনি ৩০০ শতাংশ নিশ্চিত, কোনও দুর্নীতি করেননি তিনি। বরং ওই সংস্থা থেকে লোন নিয়েছেন তিনি এবং সুদ সমেত সমস্ত টাকা ফিরিয়ে দিয়েছেন তিনি।
৪২৯ জন অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে ফ্ল্যাট পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রায় ২৪ কোটি টাকা তোলার অভিযোগ উঠেছিল সেভেন সেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড নামক এক সংস্থার বিরুদ্ধে, যে সংস্থার যৌথ ডিরেক্টর তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির কাছে এই নিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পন্ডা। তাঁর অভিযোগ ছিল, ২০১৪ সালে টাকা নিয়ে তিন বছরের মধ্যে ৩ বিএইচকে ফ্ল্যাট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখনও সেই ফ্ল্যাট পাননি কেউ। উল্টে সংস্থার টাকায় পাম অ্যাভিনিউতে বাড়ি করেছেন নুসরত।
এই অভিযোগের নিয়ে আজ সাংবাদিক বৈঠক ডেকেছিলেন তৃণমূল সাংসদ। শুরুতেই তিনি বলেন, তিনি কোনও ব্যাখ্যা দিতে আসেননি। ব্যাখ্যা তারাই দেয় যাঁরা অপরাধ করেন বা যাঁরা ভয় পান। তিনি কোনও অপরাধ করেননি। যে বিষয় বিচারাধীন রয়েছে, সেটা নিয়ে মন্তব্যও তিনি করতে চান না। অনেকে না জেনে অনেক মন্তব্য করেছেন, তাই এই সাংবাদিক বৈঠক করছেন তিনি।
তিনি বলেন, 'যে কোম্পানির বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে,সেই কোম্পানি আমি ২০১৭ সালের মার্চ মাসে ছেড়ে দিয়েছি। এছাড়াও দুর্নীতির টাকায় বাড়ি কেনার অভিযোগ উঠেছে আমার বিরুদ্ধে। এই উত্তরে আমি বলব, এই কোম্পানি থেকে আমি ১ কোটি ১৬ লাখ ৩০ হাজার ২৮৫ টাকা লোন নিয়েছিলাম। ২০১৭ সালের মে মাসে সুদসমেত এই কোম্পানিকে আমি ১ কোটি ৪০ লাখ ৭২ হাজার ৯৯৫ টাকা ফেরত দিই। তার সমস্ত প্রামাণ্য নথি, বাড়ির দলিল আমার কাছে রয়েছে। আমি চাইলে খুলে দেখাতে পারি। তবে এটা দেখতে কোর্ট থেকে নিতে হবে।'
নুসরত আরও বলেন, ‘৩০০ শতাংশ দায়িত্ব নিয়ে বলছি, দুর্নীতির সঙ্গে আমার কোনও যোগ নেই। যদি আমার কোনও ভুল-ত্রুটি আপনারা প্রমাণ করতে পারেন, তাহলে যা বলবেন তাই করব। এই বিষয়টা কোর্টের বিচারাধীন। আমি এই বিষয়ের সঙ্গে জড়িত নই। আমি কোনও ভুল করে থাকলে, মিথ্যে বললে, মানুষের থেকে একটা পয়সাও নিলে আমি আপনাদের সামনে এসে দাঁড়াতাম না। এই কোম্পানিতে আমি একটাও শেয়ার হোল্ড করি না। কোম্পানিতে কী কী হচ্ছে সে বিষয়ে আমার কোনও ধারণাই নেই।'
এরপর সাংবাদিকদের তরফ থেকে প্রশ্ন আসে, ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ না নিয়ে কেন ওই সংস্থা থেকে ঋণ নিলেন তিনি? এই প্রশ্ন শুনে দৃশ্যতই মেজাজ হারিয়ে সাংবাদিক বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যান তৃণমূল সাংসদ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন