বকেয়া মহার্ঘ ভাতার দাবিতে আন্দোলনের ঝাঁজ আরও তীব্র করছেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সদস্যরা। আগামী ৬ মে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির পাশ দিয়ে মিছিল করার পর মুখ্যমন্ত্রীর বিধানসভা এলাকাতেও সভা করতে চাইছে সরকারি কর্মচারীদের সংগঠনটি। তবে পুলিশ অনুমতি দেয় কিনা তা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে।
নবান্নে বকেয়া ডিএ সহ একাধিক দাবি নিয়ে আলোচনার পর সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ ৬ মে মহামিছিলের ঘোষণা করেছিলেন। ওই দিন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের অবস্থান ১০০ দিনে পড়বে। সেই উপলক্ষ্যেই মিছিলের ডাক দিয়েছেন তাঁরা। মিছিলের পর একটি সভাও করবেন তাঁরা। যাতে নিজেদের দাবিগুলি সকলের উদ্দেশ্যে তুলে ধরতে চাইছেন সরকারি কর্মীরা। সভাটি করার কথা হাজরা মোড়ে। অর্থাৎ মমতা ব্যানার্জির বিধানসভা কেন্দ্র ভবানীপুর এলাকায়।
কিন্তু এখন একটাই প্রশ্ন পুলিশ সভা করার অনুমতি দেয় কিনা? কারণ হাজরা মোড় থেকে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির দূরত্ব এক কিলোমিটারেরও কম। ভাস্কর ঘোষ জানান, 'অনেকেই হাজরা মোড়ে সভা করেন। আমাদের দাবি জানাতে আমরা ওই স্থানটি বেছে নিয়েছি। পুলিশ অনুমতি না দিলে আদালতে যাবো। আদালত থেকে অনুমতি নিয়ে তারপর সভা করবো'।
অন্যদিকে, কো-অর্ডিনেশন কমিটি বকেয়া মহার্ঘ ভাতার পাশাপাশি সমস্ত সরকারি শূন্যপদে নিয়োগ স্বচ্ছ নিয়োগের দাবিতে আগামী ৪ মে নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে। নবান্ন অভিযানের আগে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় একাধিক কর্মসূচিও পালন করবেন সরকারি কর্মচারীদের সংগঠনগুলি।
২৭ এপ্রিল প্রতিটি ব্লকে বকেয়া মহার্ঘ ভাতার দাবিতে বাইক র্যালি করবেন কো-অর্ডিনেশন কমিটির সদস্যরা। ২৮ এবং ২৯ তারিখ প্রতিটি জেলার সদর দফতরে ধর্না কর্মসূচি পালিত হবে। পাশাপাশি রাজ্য সরকারের কোষাগারে প্রতি মাসে ৩৬ টাকা ফেরত দিয়ে প্রতীকী প্রতিবাদ জানাবেন বলেও শোনা যাচ্ছে। ৩৬ শতাংশ ডিএ বাকি থাকায় অভিনব প্রতিবাদের পথ বেছে নিয়েছেন তাঁরা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন