কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগে আম্বেদকর মূর্তির পাশে ধর্নায় বসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। ধর্নায় বসার অধিকার নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করলেন মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির সামনে আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীরা।
দীর্ঘদিন ধরে ২০১৪ প্রাইমারি টেট উত্তীর্ণ নট ইনক্লুডেড চাকরিপ্রার্থীরা ধর্না দিচ্ছেন। ২৫ মার্চ পুলিশ মৌখিকভাবে তাঁদেরকে উঠে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। পরে মেইল করে দু'দিনের জন্য ধর্না তুলে নেওয়ার কথা বলে পুলিশ। কিন্তু পুলিশি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই ধর্নায় অনড় রয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। চাকরিপ্রার্থীরা বলেন, আমরা আদালতের অনুমতি নিয়েই ধর্না দিচ্ছি। আমরা বঞ্চনার শিকার। কেন আমরা কারুর সভার জন্য উঠে যাব? আমরা যতদিন না চাকরি পাচ্ছি আমাদের ধর্না উঠবে না।
এক চাকরিপ্রার্থী এই প্রসঙ্গে জানান, ২৫ মার্চ পুলিশ আমাদের অবস্থানে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। ২৭, ২৮, ২৯ এবং ৩০ তারিখ এই চারদিন আমাদের অবস্থানে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। কারণ রাষ্ট্রপতি আসবেন এবং মমতা ব্যানার্জির ধর্না কর্মসূচি। কিন্তু আমাদের বক্তব্য মাননীয়া যখন বসতে পারছেন আমাদেরকেও বসতে দেওয়া হোক। তারপর ২৬ মার্চ আমাদেরকে পুনরায় মেইল করে বলা হয় ২৭ ও ২৮ তারিখ ধর্নায় বসা যাবে না। প্রত্যুত্তরে আমরাও জানাই মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী যদি বঞ্চনার অভিযোগে ধর্নায় বসতে পারেন তাহলে আমরাও বসবো। আমাদের লড়াই জারি থাকবে।
অন্যদিকে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ধর্না দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, কেন্দ্রের কাছে রাজ্য সরকারের প্রাপ্য প্রায় এক লক্ষ কোটি টাকা। কিন্তু সেই টাকা রাজ্যকে দেওয়া হচ্ছে না। কেন্দ্রীয় এজেন্সি দ্বারা বিরোধীদের হেনস্থা করছে কেন্দ্র। আবাস যোজনায় কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের প্রাপ্য ৮২০০ কোটি টাকা, সেই টাকাও দিচ্ছে না। কেন্দ্র কেবল রাজ্যকে বঞ্চিত করছে। কেরোসিন তেল ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদেও এই ধর্না কর্মসূচি পালন করছেন মুখ্যমন্ত্রী।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন