রেশন দুর্নীতি মামলায় ১ হাজার নয়, মোট ১০ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। শনিবার আদালতে এমনই বিস্ফোরক দাবি করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। শুধু তাই নয়, ইডির দাবি - ওই ১০ হাজার কোটি টাকার মধ্যে ২ হাজার কোটি টাকা দুবাইয়ে পাচার হয়েছে।
রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে শুক্রবার জ্যোতিপ্রিয় ঘনিষ্ট বনগাঁর তৃণমূল নেতা শঙ্কর আঢ্যকে গ্রেফতার করে ইডি। টানা ১৭ ঘন্টা তল্লাশির পর শঙ্করকে গ্রেফতার করা হয়। আজ তাঁকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয় শুনানির জন্য। সেখানে ইডি জানায়, এখনও পর্যন্ত ১০ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে রেশনে। তবে এই সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে বলেই জানিয়েছে ইডি।
শঙ্করের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে এদিন আদালতে ইডি জানায়, তৃণমূল নেতার সঙ্গে ৯০টি বিদেশি মুদ্রা বিনিময়কারী সংস্থার হদিশ মিলেছে। এই সব সংস্থা সীমান্ত এলাকায় অবস্থিত, সেখানকার দরিদ্র মানুষের নামে মুদ্রার লেনদেন হতো বলে জানা গেছে। ইডির করা এই দাবি শুনে বিচারপতির প্রশ্ন, "এর পরও আমরা বলি, আমাদের রাজ্য গরিব? আমরা গরিব রাজ্যে থাকি?"
পাশাপাশি আদালতে ইডির তরফে দাবি করা হয়, এসএসকেএম হাসপাতালে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কেবিন থেকে সিসিটিভি তুলে নেওয়ার পর তাঁর মেয়ে দেখা করতে যায়। সেই সময় মন্ত্রী মেয়েকে একটি চিঠি দিয়েছিলেন। এদিন আদালতে এই চিঠি তুলে ধরা হয়। ইডির দাবি, কার কাছ থেকে কত টাকা নিতে হবে, কাকে কত টাকা দিতে হবে, তা লেখা ছিল ওই চিঠিতে। সেই চিঠি থেকেই শঙ্করের নামের উল্লেখ মেলে বলে দাবি ইডির।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন