টেন্ডার ডেকে গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি পদে নিয়োগ করছে রাজ্য সরকার! অবিশ্বাস্য হলেও এটাই হয়েছে। রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ এই টেন্ডার ডেকেছে। পর্ষদের ওয়েবসাইটে এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
গত ১০ মে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের (West Bengal Pollution Control Board) ওয়েবসাইটে এই টেন্ডার সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। টেন্ডারের নম্বর - WBPCB/SEC/ADMIN/e-1/2022। এই বিজ্ঞপ্তিতে গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি পদে নিয়োগের জন্য বিভিন্ন অনুমোদিত ঠিকাদার সংস্থাকে দরপত্র জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। ইচ্ছুক সংস্থাকে ৭ জুনের মধ্যে আবেদন জানিয়ে বিড সিকিউরিটি ফি হিসেবে ৩ লাখ ৩২ হাজার টাকা জমা দিতে হবে। ২৩ মে থেকে দরপত্র জমা দেওয়া শুরু হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে মোট ৯৫ জনকে নিয়োগ করা হবে। এর মধ্যে ৭৫ জন গ্রুপ সি মর্যাদার কর্মী এবং বাকি ২০ জন গ্রুপ ডি কর্মী। যে যে পদগুলিতে নিয়োগ হবে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে - ডাটা এন্ট্রি অপারেটর, টাইপিস্ট-কাম-ডাটা এন্ট্রি অপারেটর, অফিস অ্যাসিসট্যান্ট, সফ্টওয়্যার ডেভেলপার, সিনিয়র অ্যাকাউন্ট অ্যাসিসট্যান্ট, ল' অ্যাসিস্ট্যান্ট, এনভায়রনমেন্ট অফিসার, লিফট অপারেটর, কল সেন্টার কর্মী, পরিবেশ সেবক ইত্যাদি।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ৯৫ জনের জন্য বছরে আনুমানিক ১ কোটি ১ লক্ষ ৫০ হাজার ৮৪৮ টাকা দেওয়া হবে ওই ঠিকাদার সংস্থাকে। অর্থাৎ ৮ হাজার ৯০৪ টাকা করে গড়ে বেতন পাবেন এই কর্মীরা।
এখন প্রশ্ন উঠছে, গত জানুয়ারি মাসেই নির্দিষ্ট হয়েছে রাজ্যে ন্যূনতম মজুরি ৮ হাজার ৯০৪ টাকা। অন্যদিকে দূষণ পর্ষদ মাথাপিছু প্রত্যেককে এই পরিমাণ টাকাই দেবে। এখন প্রশ্ন, ল' অ্যাসিস্ট্যান্ট বা এনভায়রনমেন্ট অফিসার যে মজুরি পাবেন লিফট অপারেটররা বা অন্যান্য শ্রমিকরা সেই মজুরি পাবেন না নিশ্চয়। সেক্ষেত্রে অনেককে ন্যূনতম মজুরির কম বেতনে কাজ করতে হবে। আরও প্রশ্ন উঠছে, যদি টেন্ডার ডেকেই নিয়োগ করতে হয় তাহলে ঢাকঢোল পিটিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর তৈরি করা এমপ্লয়মেন্ট ব্যাংক কোন কাজে এলো?
যদিও এই টেন্ডারের বিষয়টি সম্পর্কে একেবারেই অবগত নন পর্ষদের চেয়ারম্যান কল্যাণ রুদ্র। তাঁকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করলে রীতিমতো অবাক হয়ে যান তিনি। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন