ধর্মতলায় বাম ছাত্র-যুবদের ইনসাফ সভা থেকে তৃণমূল-বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করলেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তিনি বলেন, মোদী আর মমতা মিলে বাংলায় হিন্দু-মুসলমানকে ভাগ করতে চাইছে। এদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই জারি থাকবে।
সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, "আমাদের শিল্প, কারখানার পাশাপাশি বাংলাকেও বাঁচাতে হবে। বিজেপি তৃণমূল যে সাম্প্রদায়িকভাবে বাংলাকে ভাগ করতে চাইছে তার বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই। এই বাংলায় আনিস খানের জন্য ইনসাফ চাইছে সৃজন ভট্টাচার্য, মীনাক্ষী মুখার্জী এবং ধ্রুবজ্যোতি সাহারা। আর মমতা-মোদী শেখাচ্ছে হিন্দু-মুসলমানকে ভাগ করতে। আমরা বিজেপির এনআরসি, এনপিআরের বিরুদ্ধে লড়াই করছি। আনিসও ঠিক একইভাবে লড়াই করছিল। তখন বিজেপির নেতারা বলেছিল ‘গোলি মারো শালোকো’। আর এখন শ্যালিকার জামাইবাবু বলছে গুলি কীভাবে মারতে হয়"।
পাশাপাশি তিনি বলেন, বিজেপি-তৃণমূল গেম চেঞ্জার নয় এরা নেম চেঞ্জার। এদিকে মমতা একাধিক জেলা ভাঙছে। নতুন নাম দিচ্ছে। আর ইউপিতে যোগী এলাহাবাদের নাম পরিবর্তন করছে। আরএসএস-র হয়ে কাজ করছে মমতা। গোরু পাচার, কয়লা পাচার সবেতেই টাকা খেয়েছে তৃণমূল। টিএমসি মানে টাকা মারা কোম্পানি। আমরা লড়াই করব এই চোরেদের বিরুদ্ধে।
এছাড়াও সেলিম বলেন, নতুন পাখির (বাম ছাত্র-যুব) উড়ান যারা রুখতে চাইছে তাদের কেউ ক্ষমা করবে না। আমরা বিধানসভায় না থাকতে পারি। আমরা রাস্তায় আছি। অধিকার কে কাকে দেয়? অধিকার লড়ে নিতে হয়। বেকারদের স্বপ্ন ধ্বংস করেছে এই তৃণমূল। মমতা বুকনি দেবে আর আমাদের মা ঘুগনি বানিয়ে দেবে! আজকে রাজ্য লুঠতন্ত্রে পরিণত হয়েছে তৃণমূলের জন্য।
কলকাতার ট্রাফিক নিয়েও মুখ খোলেন সেলিম। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন অভিষেকের বাড়ির সামনে কলকাতা পুলিশের সাঁজোয়া গাড়ি থাকে। কবে সিবিআই চলে আসবে কবে ইডি চলে আসবে তার জন্যই অর্ধেক রাস্তা ব্যারিকেড করে ঘিরে রেখেছিল। মমতার কার্নিভাল হবে তার জন্য ৪৮ ঘন্টা আগে রাস্তা বন্ধ করা হয় তখন মনে পড়েনি ট্রাফিক বন্ধ হবে? আর আমাদের কর্মসূচি হলেই ট্রাফিকের অজুহাত দিয়ে অনুমতি দেওয়া হয় না।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন