রাজ্য রাজনীতিতে এখন চর্চার বিষয় নওশাদ সিদ্দিকির একটি মন্তব্য। দলবদলের টোপ দেওয়া নিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে পাল্টা তীব্র কটাক্ষ করেন আইএসএফ বিধায়ক। তিনি বলেন, আমি মুখ খুললে কুণাল ঘোষের চাকরি চলে যাবে।
সম্প্রতি, সাগরদিঘির বিধায়ক বাইরন বিশ্বাস কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। বাইরনের এই দলবদলের পরই নওশাদকে নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়। অনেকেই দাবি করেন, তৃণমূলের পরবর্তী শিকার ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। যদিও সেই জল্পনাকে উড়িয়ে দিয়েছেন খোদ বিধায়কই। বৃহস্পতিবার জনপ্রিয় এক বাংলা সংবাদমাধ্যমে তিনি জানান, 'তাঁকেও তৃণমূল থেকে টোপ দেওয়া হয়েছিল।'
এই মন্তব্যের পরই কুণাল ঘোষ বলেন, 'নওশাদকে কে কীভাবে টোপ দিয়েছিল নামটা প্রকাশ্যে বলুক। অযথা ভিত্তিহীন কথা বলে লাভ নেই। প্রমাণ থাকলে দিক।' এরপর পাল্টা সুর চড়ায় নওশাদও। ভাঙড়ের বিধায়ক বলেন, 'আমি যদি নামটা বলে দিই, তাহলে কুণাল ঘোষের চাকরিটাই থাকবে না।'
উল্লেখ্য, নওশাদ সিদ্দিকি ওই সংবাদমাধ্যমে বলেছিলেন, 'তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য মন্ত্রীত্ব, আরও উচ্চ পদ সহ কোটি কোটি টাকার লোভ দেখানো হয়েছিল। পাশাপাশি ভয়ও দেখানো হয়েছিল। ৪২ দিন জেলে আটকে রেখেছিল। কিন্তু আমার একটাই কথা ভাঙড়ের মানুষকে আমি ঠকাতে পারবো না।'
এর আগেও দলবদল প্রসঙ্গে ভাঙড়ের বিধায়ক বলেছিলেন, 'আমার দলবদলের প্রশ্নই ওঠে না। আমি বিরোধী হিসেবে ভাঙড়ে জিতেছি। ভাঙড়ের মানুষ আমার ওপর বিশ্বাস করেই ভোট দিয়েছিলেন। আমি তাঁদের কোনোদিন ঠকাতে পারব না। আমি সব সময়ই অন্যায়ের প্রতিবাদ করি। তৃণমূলের অত্যাচার, দুর্নীতি সবকিছুর বিরুদ্ধে আগেও প্রতিবাদ করেছি, এখনও করছি আর ভবিষ্যতেও করবো। বিধানসভাতেও ভাঙড়ের মানুষের জন্য আওয়াজ তুলি। আমি ভাঙড়ের মানুষের বিশ্বাস ভাঙতে পারবো না।'
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন