এবার 'থ্রেট কালচার'-এর অভিযোগ উঠল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। পড়ুয়ারা নন, অভিযোগ তোলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরা। জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা এবং গণজ্ঞাপন বিভাগের এক অধ্যাপককে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরেই হেনস্থা করার চেষ্টা করেছেন পড়ুয়ারা। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (জুটা)'র পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এই অভিযোগ করা হয়েছে।
বুধবার জুটার সম্পাদক অধ্যাপক পার্থ প্রতিম রায় বলেন, "যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মুষ্টিমেয় কিছু ছাত্র-ছাত্রী সামাজিক মাধ্যমে কুৎসা, ভয় প্রদর্শন-সহ যে ধরনের অপরাধমূলক ভাষা ব্যবহার করছেন, তা 'থ্রেট কালচার'কেই প্রমোট করে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সুষ্ঠু পরিবেশকে ব্যাহত করছে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্কের সুস্থ ঐতিহ্য বজায় রাখার জন্য দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে অঙ্গীকারবদ্ধ।"
উল্লেখ্য, সম্প্রতি অভিযোগ ওঠে সাংবাদিকতা এবং গণজ্ঞাপন বিভাগে পড়ুয়াদের মূল্যায়নে প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে এক অধ্যাপক নম্বর কম দিয়েছেন। এই মর্মে এক অধ্যাপক সম্পর্কে সমাজ মাধ্যমে নানা আপত্তিকর কথাও লেখা হয়। ওই অধ্যাপকের কাছে কার্যত জবাবদিহি চাইতে তাঁর বসার ঘরে চলে যান কয়েকজন ছাত্র-ছাত্রী। সেখানেও গিয়ে আপত্তিকর শব্দ ব্যবহার করেন ছাত্র-ছাত্রীরা বলে অভিযোগ ওঠে। পরে বিষয়টি উপাচার্যের কাছে জানানো হলে বিভাগগতভাবে আলাপ-আলোচনা হয়।
অধ্যাপক পার্থপ্রতিম রায় জানান, "আমরা একথা জানিয়ে দিতে চাই, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যদি মনে করে যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা পক্ষপাতিত্ব করছেন, তাহলে তাঁরা উত্তরপত্র মূল্যায়নের দায়িত্ব বাইরের পরীক্ষকদের দিতে পারে। তাঁরা যদি মনে করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন মেনে উত্তরপত্র পুনর্মূল্যায়নের দায়িত্ব দেশের বা বিদেশের কাউকে দিয়ে করাবেন, তাও করাতে পারেন। কিন্তু কোনও শিক্ষককে তাঁর বসার ঘরে গিয়ে হেনস্থা করে বা ভয়ের পরিবেশ তৈরি করে মূল্যায়ন পদ্ধতিকে প্রভাবিত করার ঘটনাকে আমরা মেনে নিতে পারি না।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন