যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য হয়েছেন বুদ্ধদেব সাউ। তাঁর নিয়োগকে কেন্দ্র করে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে। জানা গেছে তিনি আরএসএস পরিচালিত একটি সংগঠনের সাথে যুক্ত। যা নিয়ে কটাক্ষ করেছেন বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী।
ছাত্রমৃত্যু ঘটনায় উপাচার্যহীন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের দিকে আঙুল উঠতেই নড়েচড়ে বসেছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। তড়িঘড়ি নিয়োগ করেছেন নতুন উপাচার্য। অগাস্ট মাসের প্রথম থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো উপাচার্য বা সহ উপাচার্য ছিল না। নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউয়ের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। নিয়ম বলছে উপাচার্য হতে গেলে ১০ বছর অধ্যাপক হিসেবে অভিজ্ঞতা থাকা দরকার। কিন্তু বুদ্ধদেব সাউ ২০১৫ সাল থেকে অধ্যাপনা করছেন। এই নিয়োগের পেছনেও রাজনৈতিক কারণ যুক্ত রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
নতুন উপাচার্য 'অখিল ভারতীয় রাষ্ট্রীয় শিক্ষক মহাসঙ্ঘ'-র সভাপতি বলে জানা গেছে। সূত্রের খবর, এই সংগঠনটি যাদবপুরে পরিচিত নয়। সংগঠনটি চলে আরএসএস-র নির্দেশে। এত অধ্যাপক থাকতে বেছে বেছে কেন সংঘের সাথে যুক্ত থাকা এক অধ্যাপককে কেন নিয়োগ করলেন রাজ্যপাল? রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
নতুন উপাচার্যের সাথে সংঘ যোগ প্রকাশ্যে আসতেই কটাক্ষ করেছেন সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, "নতুন উপাচার্য নিয়োগ হয়েছে ভালো কথা। কিন্তু এই উপাচার্যকে দিয়ে কী হবে? রেজিস্ট্রার ২১ জুলাই তৃণমূলের সভায় যাবেন আর উপাচার্য আরএসএস বিজেপির হয়ে কাজ করবে। এইভাবে শিক্ষাব্যবস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী তৃণমূলের লোক খুঁজছেন আর রাজ্যপাল বিজেপির। তাঁদের এই কাজ ছাড়া আর তো কোনো কাজ নেই। এই উপাচার্য নিয়োগের সাথে সাথেই বিভিন্ন বিভাগের ডিন পদত্যাগ করছেন। এর রহস্য কী? আসলে কেউই রাজ্যপালের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারছেন না। তাই পদত্যাগ করে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন