ফের চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভে উত্তাল কলকাতার রাজপথ। বৃহস্পতিবার সকালে সল্টলেকের পর দুপুরে হাজরা মোড়েও নিয়োগের দাবিতে সরব হন তাঁরা। সব মিলিয়ে প্রায় ৪০ জন চাকরিপ্রার্থীকে আটক করেছে পুলিশ।
আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভে দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায় কলকাতায়। হাজরাতে মেট্রো স্টেশন থেকে প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। রাস্তায় শুয়ে পড়েও বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের দাবি, আর কতদিন এইভাবে রাস্তায় থাকতে হবে? তাঁদের কি নিয়োগ দেবে না? অবিলম্বে নিয়োগ দিতে হবে। অযোগ্যদের চাকরি থেকে বের করে যোগ্যদের চাকরি দিতে হবে।
তাঁরা বলেন, ২০১৪ সালে টেটের বিজ্ঞপ্তি বেরোয়। ২০১৫ সালে পরীক্ষার পর ২০১৬ সালে ইন্টারভিউয়ের জন্যও ডাকা হয়। কিন্তু ১৪,৩৩৯টি শূন্যপদ থাকার পরেও তাঁদের কোনো নিয়োগ হয়নি। এমনকি আদালতের নির্দেশের পরেও প্যানেল গঠন করা হয়নি।
হাজরা মোড়ে জমায়েত করে কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন তাঁরা। পথে চাকরিপ্রার্থীদের বাধা দেয় পুলিশ। চাকরিপ্রার্থী ও পুলিশের মধ্যে রীতিমতো খণ্ডযুদ্ধ বাধে। বেশ কয়েকজন অসুস্থও হয়ে পড়েন। প্রায় ৪০ জন চাকরিপ্রার্থীকে টেনে হিঁছড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। কালীঘাট ও ভবানীপুর থানার পুলিশ তাঁদের অবৈধ জমায়েতের অভিযোগে আটক করে লালবাজারে পাঠিয়েছে।
অন্যদিকে আজ সকালেই সল্টলেকে নিয়োগের দাবিতেই আচার্য ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখান আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীরা। সকাল সাড়ে ৭টার পর থেকেই আচার্য ভবনের গেটের সামনে বসে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। পরে পুলিশ এসে তাঁদের সরিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
গতকাল এমএলএ হস্টেলের দরজা আটকে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। ভেতরে দীর্ঘক্ষণ আটকে পড়েছিলেন বিধায়করা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন