নিয়োগের দাবিতে বিধায়কদের আটকে এমএলএ হস্টেলের সামনে বিক্ষোভ দেখালো চাকরিপ্রার্থীরা। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর সাথে দেখা করারও আবেদন জানান তাঁরা। বিক্ষোভের জেরে হস্টেলের মধ্যেই দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকেন একাধিক বিধায়ক।
নিয়োগের দাবিতে চাকরিপ্রার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে রাস্তায় আন্দোলন করছেন। তবে কোনো সুরাহা না মেলায় এবার বিধায়কদের আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখানোর পথ বাছলেন তাঁরা। বিধানসভায় এখন অধিবেশন চলছে। ফলে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের বিধায়করা হস্টেলে রয়েছেন। বুধবার সকাল থেকে এমএলএ হস্টেলের সামনে দীর্ঘক্ষণ দরজা আটকে প্ল্যাকার্ড হাতে প্রতিবাদে সামিল হন চাকরিপ্রার্থীরা।
আন্দোলনকারী এক চাকরিপ্রার্থী বলেন, '৯০০ দিনে হয়ে গেল আমরা রাস্তাতেই রয়েছি। আমাদের নিয়ে কেন ভাবছে না সরকার? আমরা চাই বিধানসভায় আমাদের নিয়ে আলোচনা হোক। আর তা যদি না করা হয় তাহলে আমাদের বুক লক্ষ্য করে গুলি চালাক। হয় চাকরি দিক, নয়তো মৃত্যু দিক।'
একটা প্ল্যাকার্ডে বিধায়কদের উদ্দেশ্যে তাঁদের দাবিও লিখে রেখেছেন চাকরিপ্রার্থীরা। মূলত তিনটি দাবি নিয়ে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। প্রথম, '৯০০ দিন ধর্নায় বসে থাকা বঞ্চিত প্রার্থীদের নিয়োগের জন্য চলতি বিধানসভায় আওয়াজ তুলুন'। দ্বিতীয়, 'স্কুলে শিক্ষক ঘাটতি ও সরকারি শিক্ষা-ব্যবস্থার বেহাল দশা নিয়ে বিধানসভায় কথা বলুন'। তৃতীয়, 'সরকারি শিক্ষার হাল ফেরাতে বিধানসভায় সরকারের দায়িত্ববোধ নিয়ে প্রশ্ন তুলুন'।
পরে পুলিশ এসে টেনে হিঁচড়ে চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ তুলে দেয়।
চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন প্রসঙ্গে বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, তিনি নাকি পুরো বিষয়টাই জানেন কার মদতে চাকরিপ্রার্থীরা বিধায়কদের আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। তাঁর মতে এই কাজ করা উচিত নয়। আন্দোলনের অধিকার সকলের রয়েছে। তবে এই ধরণের কাজকে সমর্থন করেন না তিনি। পুলিশ প্রশাসন যথাযথ পদক্ষেপ নেবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন