স্বচ্ছ নিয়োগের দাবিতে টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিস ঘেরাও অভিযানকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠলো সল্টলেক চত্বর।
বুধবার বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ সল্টলেকের বিকাশ ভবনে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিস ঘেরাও করার জন্য একটি মিছিল শুরু করেন চাকরিপ্রার্থীরা। উল্টোডাঙ্গা থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে বিকাশ ভবন অভিমুখে রওনা হয়। কিন্তু সল্টলেকে ঢোকার আগেই তাঁদের আটক করে পুলিশ। যার জেরে বিক্ষোভকারী চাকরিপ্রার্থীদের সাথে ধস্তাধস্তি হয় পুলিশের। যদিও শেষ পর্যন্ত পুলিশের ঘেরাটোপ পেরিয়ে পর্ষদ অফিসে পৌঁছাতে পারেননি চাকরিপ্রার্থীরা।
বুধবার সল্টলেকের ওই চত্বরের সিসিটিভি ফুটেজ চেক করে দেখা গেছে, পুলিশ বিক্ষোভরত চাকরিপ্রার্থীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করছে। শুধু তাই নয়, বিক্ষোভস্থল থেকে বলপূর্বক তাঁদের একটি বাসের ভিতর তুলে দেওয়া হয়। বাসের ভিতর থেকেই ওই চাকরিপ্রার্থীরা তাঁদের দাবি এবং অভিযোগের কথা সোচ্চারে জানাতে থাকেন।
তাঁরা বলেন, "আমাদের দাবি, অবিলম্বে নিয়োগ করতে হবে। ২০১৬ সাল থেকে নিয়োগের অপেক্ষা করছি। অথচ পাঁচ বছর কেটে গেলেও নিয়োগ হয়নি।" বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মেটানোর জন্য বহু অনুরোধ করা সত্ত্বেও কোনও লাভ হয়নি। সেই জন্যই বাধ্য হয়ে বিক্ষোভের পথ বেছে নিয়েছেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, স্কুল সার্ভিস কমিশনে ব্যাপক দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসার পর ধর্মতলায় গান্ধীমূর্তির পাদদেশে অবস্থানরত চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগের ব্যাপারে আশ্বাস দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এসএসসি চাকরিপ্রার্থীদের সাথে এই বিষয়ে বৈঠক চলাকালীন শিক্ষা দপ্তরের বাইরে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের মূল দাবি ছিল, এসএসসি চাকরিপ্রার্থীদের যেমন নিয়োগের আশ্বাস দিয়ে বৈঠক ডেকেছিলেন অভিষেক, ঠিক সেইরকমভাবেই টেট উত্তীর্ণদের সাথে বৈঠক করেও দ্রুত নিয়োগের ব্যবস্থা করা হোক।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন