স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগে একের পর এক গরমিল নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। আদালতে চলছে একের পর এক মামলা। ঠিক এরই মাঝে এবার বড়সড় দুর্নীতির অভিযোগ উঠল প্রাথমিক টেটে। পরীক্ষায় পাশ না করেও চাকরি পেয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির ক্ষেত্রে আগেই মামলা দায়ের করা হয়েছিল। কিন্তু আদালতের নির্দেশ থাকা স্বত্ত্বেও বোর্ডের তরফে কোনও হলফনামা দেওয়া হয়নি। তাই রমেশ আলী নামে এক মামলাকারী এবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে পুরো বিষয়টি জানিয়েছেন। মামলাকারী নিজেও একজন চাকরিপ্রার্থী।
সূত্রের খবর, ২০১৪ সালে প্রাইমারী শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা দিয়েছিলেন রমেশ আলী। রমেশের অভিযোগ, টেট পরীক্ষায় ফেল করেও সুব্রত মণ্ডল নামের এক ব্যক্তি চাকরি পেয়েছেন। তিনি বর্তমানে কর্মরত। এই ঘটনার পর ২০১৯ সালে মামলা করেছিলেন রমেশ আলী। কিন্তু আদালতে মামলার শুনানি হলেও সুবিচার মেলেনি বলেই জানিয়েছেন রমেশ। আগামী বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানি হবে।
এ প্রসঙ্গে মামলাকারীর আইনজীবীর বক্তব্য, "প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির কথা ২০১৯ সালেই আমরা জানতে পারি এবং ২০১৯ সালেই আমরা মামলা করি। আগেও সেই মামলার শুনানি হয়েছে। বোর্ডকে হলফনামা দিতে বলা হয়েছে কিন্তু রাজ্য সরকার বা বোর্ড এখনও হলফনামা দিতে পারেনি। তাই আমরা আজ মহামান্য বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করি।"
তিনি আরও জানান,"একজন টেট ফেল চাকরিপ্রার্থী কি করে চাকরি পেতে পারে? টেটের চাকরি পেতে গেলে সর্বপ্রথম কাউকে টেট পাশ করতে হবে।" এক সাংবাদিক SSC দুর্নীতির বিষয়ে প্রশ্ন করলে তার জবাবে মামলাকারীর আইনজীবী জানান, "এই মামলায় যা তথ্য আমাদের কাছে আছে, তাতে আমার মনে হয় SSC-র পর যদি প্রাইমারীতেও শুনানি হয় তাহলে দেখা যাবে SSC-র থেকেও বেশি দুর্নীতি হয়েছে এবং অনেক কম নম্বর পাওয়া বা ফেল করা প্রার্থী চাকরি পেয়েছে।"
অন্যদিকে, প্রাথমিক নিয়োগ সংক্রান্ত আরও এক মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ আরও একটি হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে প্রাইমারী টেট পরীক্ষায় দুর্নীতির অভিযোগে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন