বকেয়া ৩৬% DA-র দাবিতে টানা দু'দিনের কর্মবিরতির ডাক যৌথ মঞ্চের, উঠল বৈষম্যের অভিযোগ

ভাস্কর ঘোষ বলেন, ‘একই সার্ভিস হোল্ডের কর্মচারীদের জন্য সরকার দু’রকম নীতি প্রণয়ন করতে পারে না। যেটা এ রাজ্যের সরকার, তার বঙ্গভবনের কর্মচারী ও এরাজ্যে কর্মরত কর্মচারীদের সঙ্গে করছে।'
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি
Published on

কেন্দ্রীয় হারে ‘মহার্ঘ ভাতা’ (DA)-র দাবিতে আবার কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে যৌথ সংগ্রামী মঞ্চ। আগামী সোমবার ও মঙ্গলবার, একটানা ৪৮ ঘণ্টা কর্মবিরতির ঘোষণা করেছে ৩৫টি সরকারি কর্মচারীদের সংগঠনের যৌথ মঞ্চ।

জানা যাচ্ছে, জরুরি পরিষেবা ছাড়া রাজ্যের সকল সরকারী ক্ষেত্রে এই কর্মবিরতি পালন করা হবে। ফলে, আগামী সপ্তাহের শুরুতেই সরকারি কাজকর্ম প্রায় বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে অনেকেই আশঙ্কা করছেন।

কেন্দ্রীয় হারে বকেয়া ডিএ মেটানোর দাবিতে গত ২৭ জানুয়ারি থেকে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে যৌথ সংগ্রামী মঞ্চ। প্রায় ৪৪২ ঘন্টা অবস্থান কর্মসূচী, ৭ দিন লাগাতার অনশন, ২ দিন রিলে অনশন, ২৪ ঘন্টার প্রতীকী অনশন এবং গত ১৩ ফেব্রুয়ারি একদিনের কর্ম বিরতি করেছে আন্দোলনকারী সরকারী কর্মচারীরা।

এরই মাঝে, গত কাল বুধবার কর্মীদের ৩ শতাংশ ডিএ বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছেন রাজ্যের অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। কিন্তু এই সামান্য ডিএ বৃদ্ধিতে সন্তুষ্ট নন মঞ্চের সদস্যেরা। তাঁরা বিষয়টিকে ‘ভিক্ষার দান’ হিসাবেই দেখছেন। তাঁদের দাবি, ডিএ কোনও ভিক্ষা নয়, এটি আমাদের ন্যায্য পাওনা।

বৃহস্পতিবার, যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের আহ্বায়ক, ভাস্কর ঘোষ পিপলস রিপোর্টারের প্রতিনিধিকে বলেন, ‘গতকালই রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ৩ শতাংশ ডিএ ঘোষণা করেছেন। ফলে, বাকি থাকছে ৩৬ শতাংশ। আমরা পুরো ৩৯ শতাংশ ডিএ এবং এই ডিএ’র অর্ডার (DO) দাবি করছি।’

তিনি আরও জানান, ‘এই রাজ্যের যে সব সরকারী কর্মচারী দিল্লি এবং চেন্নাইয়ের বঙ্গভবনে চাকরী করেন, তাঁদের জন্য পার্মানেন্ট ডিএ’র অর্ডার আছে। সেই অর্ডার আমাদের ক্ষেত্রেও জারি করতে হবে।’

ভাস্কর ঘোষ বলেন, ‘পার্মানেন্ট ডিএ অর্ডার হল কেন্দ্র যখন যখন ডিএ দেবে, ওদের ক্ষেত্রে সেটা অটোমেটিক লাগু (স্বাভাবিকভাবে কার্যকর) হবে।’

তিনি বলেন, ‘একই রাজ্য সরকারের কর্মচারী, একই নিয়ম, একই পে-কমিশন, কিন্তু দু’রকম নীতি। আমরা এই বৈষম্য মানছি না।’

একইসঙ্গে তিনি জানান, ‘দুই (দিল্লি ও চেন্নাই) বঙ্গভবনে প্রায় শ’দুয়েক (প্রায় ২০০) কর্মচারী আছে। কিন্তু, একই সরকারের আমলে দু’রকম নীতি হতে পারে না। সরকারী নীতি একই রকম হতে হবে। একই সরকার একই পে-কমিশনের আওতায় থাকা কর্মচারীদের জন্য দু’রকম নীতিতে চলতে পারে না। যেটা এ রাজ্যের সরকার, তার বঙ্গভবনের কর্মচারী ও এরাজ্যে কর্মরত কর্মচারীদের সঙ্গে করছে। আমাদের প্রতিবাদ সেখানেই।’

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in