JU: চরম অর্থসংকটে ভুগছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, প্রাক্তনীদের কাছ থেকে অর্থ সাহায্য উপাচার্যের

কেন্দ্র এবং রাজ্য উভয় সরকারই অর্থ বরাদ্দ বন্ধ করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় এমন তহবিল সঙ্কটে পড়েছে, অ্যাকাডেমিক শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে। - সুরঞ্জন দাস (উপাচার্য)
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ফাইল ছবি - সংগৃহীত
Published on

সম্প্রতি বিশ্বের শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানীদের তালিকায় যে ৪২ জন বিজ্ঞানীদের নাম ছিল, সেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমানে চূড়ান্ত আর্থিক সংকটে ভুগছে। কেন্দ্র এবং রাজ্য উভয় সরকারই অর্থ বরাদ্দ বন্ধ করেছে। যার প্রভাব পড়ছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায়। এমনকি, আর্থিক সংকট মেটাতে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা যাদবপুরের প্রাক্তনীদের কাছে অর্থ সাহায্য চাইতে হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে!

গত ২৪ অক্টোবর, গ্লোবাল যাদবপুর ইউনিভার্সিটি অ্যালামনি ফাউন্ডেশনকে চিঠি দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। তাঁর দাবি, মূলত বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি বিভাগে আর্থিক সমস্যা সবচেয়ে বেশি। চিঠিতে তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল গঠনের জন্য আমি আপনাদের আবেদন জানাচ্ছি। যাতে পরিকাঠামো বজায় রাখা ও তা উন্নত করতে, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরে প্রতিযোগিতা করার ক্ষেত্রে আমাদের অর্থ সমস্যায় না পড়তে হয়। বিশ্ববিদ্যালয় এমন তহবিল সঙ্কটে পড়েছে, অ্যাকাডেমিক শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, বিভিন্ন বিভাগীয় প্রধানের কাছে অর্থের অভাবে ব্যয় বরাদ্দ কমানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের বলা হয়েছে ল্যাব টিচিং, বিভাগীয় গবেষণা খাতে বার্ষিক বাজেট ৩ লক্ষ টাকা বা তার কম হলে বরাদ্দের ৬০ শতাংশ ব্যয় করা যেতে পারে। কিন্তু তার বেশি হলে ব্যয় বরাদ্দ করা হবে না।

অন্যদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের রুসা (RUSA)-র টাকা ৫০ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। যা মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা খাতে ব্যবহৃত হত। ফলে খুব স্বাভাবিকভাবেই যাদবপুরের মত দেশ-বিদেশে নাম করা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার মান আগামীদিনে পড়ে যাবে বলেই আশঙ্কা অধ্যাপকদের।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পার্থপ্রতিম বিশ্বাসের কথায় - শুধুমাত্র দেশ নয়, বিশ্বের খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে একটি হল যাদবপুর। গবেষণার মান, পঠন-পাঠনের দিক থেকে ধারাবাহিকভাবে শ্রেষ্ঠত্বের তালিকায় নিজের নাম ধরে রেখেছে যাদবপুর। তাই, এমন একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সুনাম বজায় রাখার দায় রাজ্য ও কেন্দ্র উভয় সরকারের উপরই বর্তায়।

তিনি আরও জানান, করোনা অতিমারীর পর এখনও পর্যন্ত নন-স্যালারি খাতে রাজ্য সরকারের তরফে ৪০ শতাংশের বেশি টাকা পাওয়া যায়নি। আর কেন্দ্র রুসা'র অর্থ ক্রমশ কমিয়ে আনার মধ্যে দিয়ে নিজেদের দায় ঝেড়ে ফেলতে চাইছে।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়
সেরা গবেষকের তালিকায় JU-র ৪২, চরম আর্থিক সংকটের মুখে দাঁড়িয়েও এই কৃতিত্ব গৌরবের - নন্দিনী মুখার্জি

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in