৩৬ হাজার নয়, প্রাথমিকে প্রায় ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল হচ্ছে। মামলার নির্দেশ সংশধোনের পর এমনটাই জানাচ্ছেন বিচারপতি গাঙ্গুলি। পাশাপাশি তিনি বলেন, এত দুর্নীতি হয়েছে কে সঠিক আর কে ভুয়ো বোঝা কঠিন।
সম্প্রতি বিচারপতি গাঙ্গুলি প্রাথমিকে ৩৬ হাজার অপ্রশিক্ষিত শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন। পরে দেখা যায় সংখ্যাটি ৩৬ হাজার নয়। টাইপোগ্রাফিক্যাল এরর-র জন্য ভুল সংখ্যা লেখা হয়েছে। মঙ্গলবার এই সংশোধন মামলার শুনানি ছিল। বিচারপতি বলেন, দুটি ক্ষেত্রে সংশোধন হবে। প্রথমে প্যানেলে সর্বনিম্ন নম্বর দেওয়া হয়েছিল ১৪.১৯১, কিন্তু সংশোধন করে তা হবে ১৩.৭৯৬। আর এই হিসেবে চাকরি বাতিল হবে ৩২ হাজারের কাছাকাছি।
বিচারপতি গাঙ্গুলির ৩৬ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশকে সংশোধন করার আবেদন জানান মামলাকারীদের আইনজীবী। মামলাকারীদের আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি সোমবার বলেছিলেন, সংখ্যাটা ৩৬ হাজার নয়, আসলে হবে ৩০ হাজারের বেশি। মামলার সময় ওই সংখ্যাই দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু টাইপোগ্রাফিক্যাল এরর-র জন্য তা ৩৬ হাজার হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আদালতে প্রায়ই এই ধরণের ভুল হয়। এতে কারুরই দোষ নেই। নির্দেশ সংশোধন করে যাতে চাকরি বাতিলের সংখ্যা ৩০ হাজারের বেশি করা হয় তার আবেদন জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ৩৬ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশের পরই শিলিগুড়িতে বিক্ষোভ দেখান চাকরিচ্যুত প্রাথমিক শিক্ষকদের একাংশ। তাঁরা অভিযোগ করেছিলেন বিচারের নামে প্রহসন হচ্ছে। এক আন্দোলনকারী জানিয়েছিলেন, "যারা ভুল করেছে তাদের ধরতে গিয়ে সকলকে দুর্নীতিগ্রস্ত বানানো হচ্ছে। পর্ষদের নিয়ম মেনেই চাকরিতে নিয়োগ করা হয়েছিল। কিন্তু এখন বিচারপতির নির্দেশে চাকরি চলে যাবে দেখছি। দোষীরা অবশ্যই শাস্তি পাক। কিন্তু একজনের দোষের জন্য বাকি নির্দোষ ব্যক্তিরা কেন শাস্তি ভোগ করবে?"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন