সুপ্রিম নির্দেশের পরও ‘তিলোত্তমা’র বিচার চেয়ে আন্দোলনে অনড় জুনিয়র চিকিৎসকরা। মঙ্গলবার পাঁচ দফা দাবিতে স্বাস্থ্যভবন অভিযান করবেন তাঁরা। পাশাপাশি দাবি পূরণের জন্য সরকারকে ডেডলাইনও বেঁধে দিয়েছেন তাঁরা।
আজ বেলা ১২টায় করুণাময়ী থেকে স্বাস্থ্য ভবন পর্যন্ত অভিযান শুরু করবেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। যে পাঁচ দফা দাবির কথা তাঁরা তুলেছিলেন, সেগুলি হল —
১) আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত সমস্ত দোষীদের দ্রুত চিহ্নিত করা, অপরাধের উদ্দেশ্য সামনে আনা এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি।
২) তথ্যপ্রমাণ লোপাটের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে জড়িতদের চিহ্নিত করে বিচার।
৩) সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণে ‘ব্যর্থ প্রমাণিত’ কলকাতা পুলিশের কমিশনার বিনীত গোয়েলের ইস্তফা।
৪) রাজ্যের সব মেডিক্যাল কলেজ, হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা।
৫) রাজ্যের সব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভয়মুক্ত পরিবেশ গড়া এবং গণতান্ত্রিক পরিবেশ সুনিশ্চিত করা।
পাশাপাশি রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব, স্বাস্থ্য অধিকর্তা (ডিএইচএস) এবং স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা (ডিএমই)-র ইস্তফা দাবি করেছেন তাঁরা। সোমবার রাতে সাংবাদিক বৈঠক করে এই কর্মসূচির কথা জানিয়েছেন তাঁরা।
এই দাবি পূরণের জন্য রাজ্য সরকারকে ডেডলাইনও দিয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। আজ বিকেল ৫টার মধ্যে এই সমস্ত দাবি পূরণে সরকার পদক্ষেপ করলে কর্মবিরতি তোলার বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করবে তাঁরা, না হলে কর্মবিরতি চলবে। পাশাপাশি স্বাস্থ্য ভবনের সামনে টানা অবস্থান শুরু করবেন বলেও জানিয়েছেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, সোমবার জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতি নিয়ে কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেল ৫ টার মধ্যে কাজে ফিরতে হবে জুনিয়র চিকিৎসকদের। কাজে যোগ না দিলে তাঁদের বিরুদ্ধে রাজ্য কোনও পদক্ষেপ করলে তখন আদালত বাধা দিতে পারব না।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন