আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে মহিলা চিকিৎসকের খুনের বিচার চেয়ে কলকাতা সহ জেলার বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। সকাল থেকেই অপরাধীদের কঠোর শাস্তির দাবিতে দফায় দফায় মিছিল করছেন আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাঁদের আন্দোলন সমর্থন জানিয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে কর্মবিরতিতে জুনিয়র চিকিৎসকরা।
দ্বিতীয় বর্ষের ট্রেনি চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যে এই ঘটনায় এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। লালবাজার সূত্রে খবর, ওই যুবক পেশায় সিভিক ভলান্টিয়ার। চার তলার সেমিনার হল, যেখান থেকে ওই চিকিৎসকের অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধার করা হয়েছে, সেখান থেকে একটি ছেঁড়া ব্লু-টুথ হেডফোনের অংশ পেয়েছে পুলিশ। সেই হেডফোনের সূত্র ধরে ধৃতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বহিরাগত কিভাবে চার তলায় উঠলো, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
দোষীদের যেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয় সেই দাবিই জানাচ্ছেন চিকিৎসক মহল। কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন জুনিয়ররা চিকিৎসকরা। তবে জরুরী বিভাগ চালু রয়েছে বলেই জানা যাচ্ছে। কর্মবিরতির জেরে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন রোগীরা।
আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল, বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ, ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ, সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ, শিশুমঙ্গল হাসপাতাল সহ একাধিক মেডিক্যাল কলেজে কর্মবিরতি পালন করছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। সকলেই নিরাপত্তা সুনিশ্চিত এবং অপরাধীদের শাস্তির দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন।
আন্দোলনরত এক জুনিয়র চিকিৎসক জানান, "এখন আমাদের সহকর্মীর মৃত্যু হয়েছে বলে সকলে সোচ্চার হচ্ছেন। কিন্তু এই ধরণের ঘটনা আমাদের প্রতিদিন সম্মুখীন হতে হয়। রাতে ডিউটি করলে কোনো নিরাপত্তা থাকে না। রাত ২টো ৩টের সময় মদ্যপ অবস্থায় ৮-১০ জন পেসেন্ট পার্টির লোক হাসপাতালে ঢুকে আসে। তাদের সাথে আমাদের ডিল করতে হয়। নিরাপত্তা রক্ষীরা কোনও কাজ করে না। তারা সবাইকেই ভিতরে ঢুকতে দিয়ে দেয়। বাড়িতে অভিভাবকরা সব সময় চিন্তায় থাকেন। আমাদের সাথে প্রতিনিয়ত কন্টাক্ট রাখতে হয় তাদের, কোনও অসুবিধা হল কিনা আমাদের।"
বর্তমানে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন কংগ্রেস কর্মীরা। কংগ্রেস নেতা আশুতোষ চট্টোপাধ্যায় জানান, 'সিসিটিভি ফুটেজ কোথায়? কলকাতার নামি মেডিক্যাল কলেজে সিসিটিভি নেই? এর সাথে আরও অনেকে জড়িত আছে। শাস্তি চাই দোষীদের।'
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন