রাজ্যের একাধিক এলাকা বন্যা কবলিত। বন্যা বিধ্বস্তদের পাশে দাঁড়াতে এবার এলাকায় এলাকায় ‘অভয়া ক্লিনিক’ গড়ে তোলার ঘোষণা করলেন আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা। বৃহস্পতিবার ধর্ণামঞ্চ থেকে তাঁরা জানান, “মানুষ যদি আমাদের কাছে সাহায্য পাঠান, সেটা দিয়ে বন্যা দুর্গত এলাকায় ত্রাণশিবির গড়তে চাই।“ অন্যদিকে, আজই পাঁশকুড়া থেকে চিকিৎসকদের কাজে ফেরার অনুরোধ জানিয়ে বন্যা বিধ্বস্ত মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্যভবনের সামনে ধর্ণামঞ্চ থেকে জুনিয়র চিকিৎসকরা বলেন, “গোটা পশ্চিমবঙ্গে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। দুর্গত এলাকার সংখ্যা বাড়ছে, হাজার হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। অত্যন্ত খারাপ পরিস্থিতি। আমাদের অবস্থানে অনেক মানুষ সাহায্য করেছেন। এখানে সকলে যা দিয়েছেন আমাদের, তা জমে রয়েছে।“
এরপরেই চিকিৎসকরা আবেদন জানান আরও সাহায্য পাঠানোর জন্য। সেই সাহায্য তাঁরা বন্যা বিধ্বস্তদের কাছে পাঠাবেন বলে জানিয়েছেন। চিকিৎসকরা বলেন, “আমরা আবেদন করব আরও মানুষ যদি আমাদের কাছে সাহায্য পাঠান, সেটা দিয়ে বন্যা দুর্গত এলাকায় ত্রাণশিবির গড়তে চাই আমরা।“
এরপরেই অভয়া ক্লিনিক গড়ে তোলার ঘোষণা করেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাঁরা জানান, “বন্যা দুর্গত এলাকায় 'অভয়া ক্লিনিক' গড়তে চাই। মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা পালন করব।“
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার পূর্ব মেদিনীপুরের এবং হাওড়ার বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানকার মানুষদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এরপরেই জুনিয়র চিকিৎসকদের বন্যা বিধ্বস্তদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি চিকিৎসকদেরও বলব, সাপেরা ডাঙায় আশ্রয় নিয়েছে। এই জল নেমে গেলে সাপের কামড়, ডায়রিয়া, জ্বর হবেই। মুখ্যসচিবকে ফোন করে মেডিক্যাল শিবির করতে বলেছি। শিবির যে করব, এখনও তো কাজে যোগদান হয়নি। আমি আমার সাধ্যমতো করেছি। আশা করি সুমতি ফিরবে। মানুষ বন্য়ায় আক্রান্ত। মানুষের প্রাণ বাঁচানো, খাদ্য তুলে দেওয়াই এখন বড় কাজ। এটা রাজনীতির সময় নয়।“
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন