ঘোষণা মতো শনিবার থেকেই রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালগুলিতে জরুরী পরিষেবায় যোগ দিয়েছেন আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালেও আংশিকভাবে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে কাজে ফিরেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
তবে জরুরী পরিষেবা চালু করলেও আন্দোলন বজায় থাকবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। কাজে যোগ দেওয়া এক জুনিয়র চিকিৎসক জানান, "আমরা জরুরী পরিষেবা চালু করেছি ঠিকই। তবে আমাদের আন্দোলন চলবে। চলাটাই স্বাভাবিক। আমরা যতদিন না পর্যন্ত সঠিক বিচার পাচ্ছি ততদিন আন্দোলন চলবে। এখন আংশিকভাবে জরুরী পরিষেবায় যোগ দিয়েছি আমরা। তবে ওপিডিতে আমরা বসছি না। সেখানে সিনিয়র চিকিৎসকরা বসছেন।"
অন্যদিকে, চিকিৎসকরা অবস্থান তুলে নেওয়ার পরই স্বাস্থ্যভবন চত্বরের দেওয়ালে লেখা প্রতিবাদী স্লোগান মুছে ছিল প্রশাসন। যা নিয়ে আন্দোলনকারী এক চিকিৎসক জানান, ''দেওয়ালে লেখা মুছতেই পারে। তা নিয়ে কিছু বলার নেই। তবে মানুষের মন থেকে প্রতিবাদ কীভাবে মুছবে? যে আগুন বাংলার মানুষের মধ্যে সঞ্চারিত হয়েছে তা নেভানো যাবে না সহজে। অন্যায় হলে মানুষ প্রতিবাদ করবেই।''
প্রসঙ্গত, গত ৯ আগস্ট আরজি করে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার বিচার চেয়ে কর্মবিরতিতে যান জুনিয়র চিকিৎসকরা। আন্দোলন তীব্রতর করতে স্বাস্থ্যভবনের সামনে ১০ দিন ধরে অবস্থান চালান তাঁরা। অবস্থানের ১১ দিনের মাথায় স্বাস্থ্যভবন থেকে সিজিও কমপ্লেক্স অভিযান করে ধর্না প্রত্যাহার করে কাজে যোগ দেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন