এবার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলাতেও সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছেন, যিনি এর আগে SSC দুর্নীতির একাধিক মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের জন্য হওয়া টেট পরীক্ষায় ফেল করেও চাকরি পেয়েছেন অনেকে। এই অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলায় চন্দন মণ্ডল নামের মূল অভিযুক্তকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য সিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গাঙ্গুলি। এই চন্দন মণ্ডলের নামে অভিযোগ, লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে বেআইনি ভাবে বহু জনকে প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন তিনি।
কিছুদিন আগে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা সিবিআই-এর প্রাক্তন অতিরিক্ত ডিরেক্টর উপেন্দ্রনাথ বিশ্বাস নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও আপলোড করেছিলেন, যেখানে এই চন্দন মণ্ডলের বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন তিনি। তাঁর এই ভিডিওর ভিত্তিতে হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়। আদালত উপেন্দ্রনাথ বিশ্বাসকে মামলার পক্ষ করার নির্দেশ দিয়েছে। তাঁকে তদন্তে সহযোগিতা করারও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
আগামী ১৫ জুন মুখবন্ধ খামে সিবিআইকে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
টেট দুর্নীতি নিয়ে সোমবার ও মঙ্গলবার পরপর দুটি মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। একটি মামলায় সুব্রত মন্ডল নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে যে টেট পরীক্ষায় ফেল করেও চাকরি করছেন তিনি। অন্য মামলাটিতে এরকম ৮৭ জনের নাম জমা দেওয়া হয়েছে, যাঁরা টেট না দিয়েই শিক্ষকতা করছেন। দ্বিতীয় মামলার শুনানিতে এই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গ্যপাধ্যায়ের এজলাস থেকে সরেছে উচ্চ প্রাথমিকের যাবতীয় মামলা। এবার থেকে প্রাথমিক এবং মাদ্রাসা শিক্ষা সংক্রান্ত মামলাগুলির শুনানি করবেন তিনি। উচ্চ শিক্ষা সংক্রান্ত নতুন কোনো মামলা আর তাঁর বেঞ্চে যাবে না। তবে যে মামলাগুলোর শুনানি ইতিমধ্যেই তাঁর এজলাসে চলছে, মামলাকারীদের যদি আপত্তি না থাকে তাহলে এই মামলাগুলোর শুনানি করতে পারবেন তিনি। তাঁর এই রায়দান কিছুটা হলেও প্রভাবশালীদের ঘুম কেড়ে নেবে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন