প্রাথমিকে ২৬৯ জনের চাকরি বাতিল করল হাইকোর্ট। প্রাথমিক দুর্নীতি মামলায় সোমবার এমনই রায় দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। চাকরি বাতিলের পাশাপাশি তাঁদের বেতনও বন্ধের নির্দেশ দেন তিনি।
প্রাথমিকে দুর্নীতি নিয়ে আগেই মামলা গিয়েছিল হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চে। এদিন ২০১৭ সালে দ্বিতীয় যে নিয়োগ প্রক্রিয়া হয় তা অবৈধ ঘোষণা করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। যার জেরেই চাকরি খোয়া গেল ২৬৯ জনের। পাশাপাশি ঐ ২৬৯ জনকে বিদ্যালয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। সাথে তাঁদের বেতন বন্ধেরও নির্দেশ দেয় আদালত।
এদিন হাইকোর্ট প্রাইমারি বোর্ডের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য ও সেক্রেটারি রত্না চক্রবর্তী বাগচীকে সিবিআই অফিসে হাজিরার নির্দেশ দেয়। বিকেল ৫.৩০ টার মধ্যে তাঁদেরকে সিবিআই আধিকারিকদের মুখোমুখি হওয়ার কথা জানায় আদালত। বিচারপতি এও জানান সভাপতি ও সেক্রেটারি যদি সহযোগিতা না করে প্রয়োজনে তাঁদের হেফাজতে নিতে পারবে সিবিআই।
উল্লেখ্য ঐ ২৬৯ জনকে ১ নম্বর করে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। পর্ষদের দাবি - পরীক্ষায় একটা প্রশ্ন ভুল ছিল। সেই জন্যই তাঁদেরকে বাড়তি ১ নম্বর দেওয়া হয়েছিল। আদালত পাল্টা প্রশ্ন - ২৬৯ জনকে নম্বর বাড়ানো হলে, তাহলে বাকি পরীক্ষার্থীদের নম্বর বাড়ানো হল না কেন? পাশাপাশি, ২৩ লক্ষ পরীক্ষার্থীর মধ্যে কেন ঐ ২৬৯ জনকেই নিয়োগ করা হল? সেই প্রশ্নও করা হয়েছে আদালতের তরফ থেকে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন