প্রাথমিকের ২০২২ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া চালিয়ে নিয়ে যেতে পারবে রাজ্য। সম্প্রতি এমনই নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। এই নির্দেশের পর সাড়ে ন’হাজার পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল পর্ষদ। আর তারপরের দিন বৃহস্পতিবার নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে নতুন মামলা করতে চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন কয়েক জন চাকরিপ্রার্থী।
এদিন সুমন্ত কোলে-সহ ১০ জন চাকরিপ্রার্থী সেই মামলা করতে চেয়ে উচ্চ আদালতে আবেদন করেন। সেই মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। শুক্রবার মামলাটির শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাথমিকে ১১,৭৫৮ পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সেই সময় বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ডিএলএড ও বিএড উভয় ডিগ্রিধারীরা চাকরীর জন্য আবেদন করতে পারবে। কিন্তু পরে সুপ্রিম কোর্ট থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়, প্রাথমিকে শুধুমাত্র ডিএলএড'রাই আবেদন করতে পারবে। সুযোগ পাবে না বিএড ডিগ্রিধারীরা।
কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন ১০ জন চাকরীপ্রার্থী। তাঁদের অভিযোগ, ওই ১০ জন চাকরিপ্রার্থীর বিএড এবং ডিএলএড উভয় ডিগ্রিই রয়েছে। কিন্তু তাঁদের বিএড-এ প্রাপ্ত নম্বর বেশি হওয়ায়, তাঁরা সেই নম্বর ব্যবহার করে ফর্ম ফিলআপ করেছিলেন। আর সেই কারণেই প্যানেলে তাঁদের নাম নেই। অথচ তাঁদের কাছে ডিএলএডের ডিগ্রিও রয়েছে। তাই তাঁদের নামও প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত করা হোক। সেকারণেই বৃহস্পতিবার আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট থেকে ২০২২ সালের প্রাথমিকে নিয়োগের উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়। শীর্ষ আদালতের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, নিয়োগ প্রক্রিয়া চালিয়ে নিয়ে যেতে পারবে রাজ্য। প্যানেল প্রকাশেও বাধা তুলে নেয় বিচারপতি হিমা কোহলি, বিচারপতি আসানুদ্দিন আমানুল্লাহ্র বেঞ্চ।
এরপরেই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে সম্প্রতি ২০২২ সালের নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করেছে রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ১১ হাজার ৭৫৮টি শূন্যপদের মধ্যে ৯ হাজার ৫৩৩ পদে শিক্ষক নিয়োগের জন্য প্রার্থীদের প্যানেল প্রকাশ করা হয়েছে। শীঘ্রই তাঁদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হবে বলেও জানা গিয়েছে। তার মধ্যেই ফের মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন