অবশেষে মন্ত্রিত্ব থেকে সরানো হল জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। রাজ্যের বনমন্ত্রী এবং শিল্পোদ্যোগ মন্ত্রীর পদে ছিলেন তিনি। শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজভবনের তরফ থেকে একথা জানানো হয়েছে। রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে গত সাড়ে তিন মাস ধরে জেলবন্দী রয়েছেন তিনি।
শুক্রবার রাজভবনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, সংবিধানের ১৬৬ (৩ ) অনুচ্ছেদ মেনে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস জ্যোতিপ্রিয়কে রাজ্যের বন দফতর এবং শিল্পোদ্যোগ ও শিল্প পুনর্গঠনের দফতরের দায়িত্ব থেকে ‘অব্যাহতি’ দিচ্ছেন। এখন থেকে বিরবাহা হাঁসদা এবং পার্থ ভৌমিক ওই দুই দফতর সামলাবেন। বিরবাহা হাঁসদা আগে বন দফতরের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। এখন থেকে এই দপ্তরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী তিনি। স্বনির্ভর এবং স্বনিযুক্তি দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রীও থাকছেন বিরবাহা। অন্যদিকে সেচ ও জলপরিবহণ দফতর মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক এবার থেকে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে শিল্পোদ্যোগ ও শিল্প পুনর্গঠনের দফতরও সামলাবেন।
জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে গত ২৬ অক্টোবর গ্রেফতার করেছিল ইডি। তারপর সাড়ে তিন মাস বনদপ্তরের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। অন্যদিকে, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে রাজ্যের তৎকালীন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়ার পাঁচ দিনের মাথায় তাঁকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের সমস্ত পদ থেকেও অনির্দিষ্ট কালের জন্য সাসপেন্ড করা হয় তাঁকে। কিন্তু জ্যোতিপ্রিয়র ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্ত নিতে এতো সময় লাগলো কেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন