গণতন্ত্রের উৎসবে মানুষের ব্যাপক সাড়া দিয়েছেন। বিরোধীরা পেরে উঠছে না বলে অশান্তির নাটক করছে। কলকাতা পুরভোটে শাসকদলের বিরুদ্ধে বিরোধীদের তোলা সন্ত্রাসের অভিযোগকে নস্যাৎ করে এই দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রবিবার বিকেলে ভবানীপুরের মিত্র ইনস্টিটিউশনে নির্ধারিত সূচি মেনে ভোট দিতে যান মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভবানীপুরের অন্তর্গত ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন মমতার ভ্রাতৃবধূ কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর ভোট কেন্দ্র মিত্র ইনস্টিটিউশনও ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যেই পড়ছে। এ দিন কাজরীকে সঙ্গে নিয়েই সেখানে ভোট দিতে যান মমতা। নিজের ভোট দেওয়ার পর বিরোধীদের তোলা হিংসার অভিযোগ নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, "উৎসবের মতো ভোট হচ্ছে। গণতন্ত্রে ভোট হচ্ছে গণ উৎসব। আমরা এটাই চেয়েছিলাম। আপনারা দেখতেই পাচ্ছেন শান্তিপূর্ণভাবে, ভালোভাবেই ভোট হচ্ছে কলকাতায়।"
এদিকে সকাল থেকেই একাধিক হিংসার খবর মিলেছে শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। গুন্ডা নামানো, ভাঙচুর চালানো, ছাপ্পা ভোট, ভুয়ো ভোটার এধরণের ভুরি ভুরি অভিযোগ জমা পড়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে। সব অভিযোগই রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে। নির্বাচন কার্যত প্রহসনে পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ বামফ্রন্টের। নির্বাচন কমিশন শান্তিপূর্ণ ভোট করতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে বলে অভিযোগ করেন সিপিআইএমের রাজ্য কমিটির সদস্য রবীন দেব।
প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে না পেরে বিরোধীরা এরকম করছে বলে দাবি করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সাফ কথা, "নিজেরা পেরে উঠছে না বলে এ সব নাটক করছে। ওদের পাত্তা না দেওয়াই ভালো। এসব এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। আমি খুশি যে শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে।"
নির্বাচনে পুলিশ প্রশাসনের নিষ্ক্রিয় থাকার অভিযোগ তুলেছেন বিরোধীরা। কিন্তু সেই অভিযোগকে একেবারে উড়িয়ে দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "কলকাতা পুলিশ যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে। বহিরাগতরা যাতে আসতে না পারে তার জন্য নাকা চেকিংয়ের ব্যবস্থা করেছে।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন