সামনের সপ্তাহেই ভোট কলকাতা পুরসভার। অথচ এখনও সেভাবে প্রচারই শুরু করতে পারলেন না বিজেপি প্রার্থীরা। নির্বাচনের প্রচারের জন্য লোক পাওয়া যাচ্ছে না। দলীয় সূত্রে খবর, মহিলা প্রার্থীরা তাদের স্বামী সন্তানকে নিয়ে প্রচারে যাচ্ছেন। পুরুষ প্রার্থীরা তাদের হাতে গোনা কয়েকজন আত্মীয়দের নিয়ে প্রচার করছেন।
দলের কর্মী-সমর্থকদের সেই উৎসাহ বা ভিড় লক্ষ করা যাচ্ছে না পুরনির্বাচনে। তাই এবার প্রচারে ভিড় বাড়াতে ভিন জেলার কর্মী- সমর্থকদের ভাড়া করে আনতে চলেছে দল। গেরুয়া শিবিরের অফিস যে এলাকায়, সেই ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডের গেরুয়া শিবিরের প্রার্থী মুকেশ সিংয়ের প্রচারসঙ্গী হওয়ার লোক নেই। ওয়ার্ডজুড়ে পদ্মশিবিরের ব্যানার-ফেস্টুন নেই। মুকেশ বলেন, প্রচারে আমার সঙ্গে সেভাবে লোক পাচ্ছি না। পাঁচ-ছয়জন কর্মীকে নিয়ে বাড়ি বাড়ি যাচ্ছি।
অবশ্য রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যর বক্তব্য, ছবিটা শীঘ্রই বদলে যাবে। সকলেই প্রচারে নামবে।' বিজেপির তরফ থেকে শাসক দল তৃণমূলের পক্ষ থেকে হুমকির অভিযোগ তোলাও হচ্ছে। যদিও দলের একাংশ স্বীকার করে নিচ্ছে যে, কলকাতায় তাঁদের সংগঠন দুর্বল। বিশেষ করে বিধানসভা নির্বাচনে পরাজয়ের পর বহু কর্মী তৃণমূলে চলে গিয়েছে, অথবা নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছে। তাছাড়া গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব তো আছেই। পাশাপাশি রয়েছে প্রার্থী নিয়ে চাপা অসন্তোষ। মণ্ডল সভাপতিরাও সেভাবে প্রচারে নামছেন না।
অন্যদিকে, ৮৬ নম্বর ওয়ার্ডে প্রয়াত কাউন্সিলর তিস্তা বিশ্বাসের স্বামীকে টিকিট দেয়নি দল। তাতে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন রাজ্য নেতাদের একটা বড় অংশ। দলের অন্যতম সহ-সভাপতি রাজকমল পাঠক জানিয়েছেন, ৮৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপির প্রার্থীর হয়ে তিনি প্রচারে যাবেন না। কারণ, প্রার্থী নির্বাচনের সময় তাঁকে কিছু জানানো হয়নি।
পুরনির্বাচনের আগে বিজেপির এই ছন্নছাড়া অবস্থা দেখে অসন্তোষ চেপে রাখতে পারেননি সর্বভারতীয় বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। রীতিমতো ধমক দিয়ে তিনি বলে যান, ভোট হতে হাতেগোনা কয়েকদিন বাকি, অথচ কোনও নেতা রাস্তায় নামেনি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন