কলকাতা পুরভোটের ঠিক আগে লোক সমর্থন নিয়ে সংকটে গেরুয়া শিবির। নির্বাচনের প্রচারের জন্য লোক পাওয়া যাচ্ছে না। দলীয় সূত্রে খবর, মহিলা প্রার্থীরা তাদের স্বামী সন্তানকে নিয়ে প্রচারে যাচ্ছেন। পুরুষ প্রার্থীরা তাদের হাতে গোনা কয়েকজন আত্মীয়দের নিয়ে প্রচার করছেন। সূত্রের খবর, দলের কর্মী-সমর্থকদের সেই উৎসাহ বা ভিড় লক্ষ করা যাচ্ছে না পুরনির্বাচনে। তাই এবার প্রচারে ভিড় বাড়াতে ভিন জেলার কর্মী- সমর্থকদের ভাড়া করে আনতে চলেছে দল।
সোমবার দলের সদর কার্যালয়ে বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন গেরুয়া নেতৃত্ব। প্রসঙ্গত, বিধানসভা নির্বাচনের আগে ভিনজেলা থেকে বহু নেতা এনে বিতর্ক বাড়িয়েছিল গেরুয়া শিবির। তা নিয়ে পরে টাকা-পয়সা নয়ছয়ের অভিযোগও ওঠে।
দলের ছন্নছাড়া দশা দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করেন এদিন পার্টি অফিসের বৈঠকে হাজির থাকা সর্বভারতীয় বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। তাঁর অভিযোগ, ভোট বাকি হাতেগোনা কয়েকদিন। অথচ এখনও ভোটের পরিবেশ তৈরি করতে পারেনি গেরুয়া শিবির। কোনও নেতা রাস্তায় নামেনি।
তাহলে কর্মী-সমর্থকরা কেন প্রচারে হাঁটবে? সবার আগে জেলা ও রাজ্য নেতাদের পুরোদমে ভোট প্রচারে এগিয়ে আসতে হবে। তৃণমূল ভোট প্রচার প্রায় শেষ করে ফেলেছে। আর বিজেপি প্রচার শুরু করতে পারেনি বলা যায়। এখনও দেওয়াল লিখনও শুরু হয়নি।
এসব নিয়ে দলের অন্দরে যে সমস্যা তৈরি হয়েছে তা খুবই স্পষ্ট। ৮৬ নম্বর ওয়ার্ডে প্রয়াত কাউন্সিলর তিস্তা বিশ্বাসের স্বামীকে টিকিট দেয়নি দল। তাতে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন রাজ্য নেতাদের একটা বড় অংশ। এদিন দলের অন্যতম সহ-সভাপতি রাজকমল পাঠক জানিয়েছেন, ৮৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপির প্রার্থীর হয়ে তিনি প্রচারে যাবেন না। কারণ, প্রার্থী নির্বাচনের সময় তাঁকে কিছু জানানো হয়নি।
রাজ্য বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, রাজকমলবাবু পুরোনো বিজেপি নেতা। কোনও বিষয়ে ওঁর আপত্তি থাকতেই পারে। তবে যা বলার দলের ভিতরে বললেই ভালো করতেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন