বিধানসভা ভোটের পর থেকেই ক্রমশ বিরোধী পরিসরে জমি হারাচ্ছে বিজেপি। অন্যদিকে ‘শূন্য’ হয়ে যাওয়া বামেরা উঠে আসছে দ্বিতীয় স্থানে। ক্রমশই ফিরে পাচ্ছে হারানো জমি। উপনির্বাচন থেকেই এই আভাস পাওয়া যাচ্ছিল। কলকাতা পুরসভার নির্বাচনে সেই ছবি আরও কিছুটা স্পষ্ট হল। কার্যত তৃতীয় স্থানে চলে গেছে বিজেপি। বিজেপিকে টেক্কা দিয়েছে বামেরা।
১৪৪ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৩৪ টি ওয়ার্ডে জিতেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপির দখলে ৩টি ওয়ার্ড। আর ২টি করে আসন পেয়েছে বাম ও কংগ্রেস। আসন সঙ্খ্যার নিরিখে বিজেপি দ্বিতীয় হলেও, ভোট শতাংশে তাঁরা বামেদের থেকে অনেকটাই পিছিয়ে। কলকাতার বহু ওয়ার্ডেই বামেরা রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কলকাতার ৬৬ টি আসনে বামেরা দ্বিতীয় স্থানে। বিজেপি দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ৪৭ ওয়ার্ডে, কংগ্রেস দ্বিতীয় স্থানে ১৬ আসনে। আর নির্দল প্রার্থীরা দ্বিতীয় স্থান পেয়েছেন ৫টি ওয়ার্ডে।
১০৩ নম্বর ওয়ার্ডে জিতেছেন বামফ্রন্টের সিপিআইএম প্রার্থী নন্দিতা রায়। ৯২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জিতেছেন বামফ্রন্টের সিপিআই প্রার্থী মধুছন্দা দেব। কংগ্রেসের ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডের সন্তোষ পাঠক ও ১৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের ওয়াসিম আনসারি জয়লাভ করেছেন। ২০১৫ সালে বিজেপি ১৫.৪২ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। এবার সেটা অনেক কমে ৮ শতাংশের আশেপাশে থাকতে পারে বলে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। অন্যদিকে বামেদের ভোট ১২ শতাংশের আশেপাশে থাকতে পারে।
শহরের প্রায় দুই তৃতীয়াংশ ওয়ার্ডে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে হয় বাম, নয় কংগ্রেস। বিজেপি সেখানে তৃতীয় স্থানে চলে গিয়েছে। ক্রমশ জমি হারাচ্ছে বিজেপি। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, করোনাকালে সিপিআইএম –র রেড ভলান্টিয়ারদের কাজকর্ম কিছুটা হলেও প্রভাব ফেলেছে এবারের পুরসভার নির্বাচনে।
অবশ্য, বিরোধীরা প্রথম থেকেই ভোটে কারচুপি, সন্ত্রাসের অভিযোগ করেছে শাসকদলের বিরুদ্ধে। বামফ্রন্টের জয়ী প্রার্থী মধুছন্দা দেবের কথায় – “গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোট হলে বামেরা আরও বেশি ভোট পেতে পারতো, আরও বেশি ওয়ার্ডে জিততে পারতো।”
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন