কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন প্লাস্টিক নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে, এমনটাই জানালেন মেয়র পারিষদের সদস্য দেবব্রত মজুমদার। এই অভিযান মূলত শুরু হবে যাদবপুর,বিজয়গড়,সন্তোষ্পুর ও বাঘাযতীনের বাজারগুলি থেকে।
যাতে বর্ষার আগে খাল ও নর্দমাগুলি পরিষ্কার থাকে সেই জন্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই কাজ পৌরনিগমের তরফ থেকে শুরু করে দেওয়ার ভাবনা চলছে। KMC এর আধিকারিকরা বিক্রেতাদেরকে বলছেন যাতে তারা প্লাস্টিকের পরিবর্তে কাপড়ের ব্যাগ ব্যাবহার করেন। এই উদ্দেশ্যে যাদবপুর, ঢাকুরিয়া, লেক গার্ডেন্স ও গরফার অন্তত ১০ টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা ১০ নম্বর বোরো অফিসে বৈঠক করেন।
জল জমার অন্যতম কারণ হচ্ছে এই প্লাস্টিক আর থার্মোকল, এই সমস্যার সমাধান একদিনে না হলেও কিছু বছর লাগবে সমাধান হতে। ইঞ্জিনিয়ারদের মতে এই প্লাস্টিকগুলি বর্ষাকালে পাম্পিং স্টেশন গুলিতে সমস্যার সৃষ্টি করে। কলকাতা সহ গোটা দেশে ৫০ মাইক্রনের কম ঘনত্ব যুক্ত প্লাস্টিক নিষিদ্ধ। শোনা যাচ্ছে ২০২৩ এর পয়লা জানুয়ারি থেকে সারা দেশে ১২০ মাইক্রনের কম ঘনত্ব যুক্ত প্লাস্টিক নিষিদ্ধ হতে চলেছে।
আধিকারিকদের মতে পাতলা কাপড়ের ব্যাগ দামে কম ও জীবাণুবিয়োজ্য। পরবর্তী কিছু সপ্তাহের মধ্যে তাদের টিম বাজারগুলিতে পরিদর্শনে এসে দেখবে প্লাস্টিকের ব্যাগ ব্যাবহৃত হচ্ছে কিনা।
বেঙ্গল পলিউশান বোর্ডের একজন আধিকারিক বলেছেন বৃষ্টিপাত এখন আরও তীব্র ও অল্প সময়ের, ফলে দ্রুত জলাবদ্ধতা দেখা যায়। যেহেতু কলকাতা একটি বদ্বীপ সমভূমি এবং উপযুক্ত ঢালের অভাব রয়েছে,তাই জল ধীরে ধীরে বেরিয়ে যায় তাই প্লাস্টিক ব্যাগের ব্যাবহারে যদি নিয়ন্ত্রন আনা যায় তাহলে কলকাতার ওয়াটার লগিং এর সমস্যার সমাধান হতে পারে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন