আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে একাধিক 'রাত দখল' কর্মসূচি নিয়েছিল রাজ্যের বিভিন্ন নাগরিক সংগঠন। এবার সেই রাত দখল কর্মসূচির আহ্বায়কদের আইনি নোটিশ পাঠাচ্ছে কলকাতা পুলিশ। এমনটাই অভিযোগ উঠছে।
গত ১৪ আগস্ট থেকে একাধিকবার রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে রাত দখলের কর্মসূচিতে সামিল হয়েছেন সাধারণ মানুষ। কলকাতাও বাদ যায়নি। কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় রাত দখল কর্মসূচিতে নেমেছিলেন মানুষ। এবার সেই সমস্ত কর্মসূচির আহ্বায়কদের আইনি নোটিশ পাঠানো হচ্ছে পুলিশের পক্ষ থেকে। যা নিয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে আরও ক্ষুব্ধ হচ্ছেন সাধারণ জনগণ।
গত ৪ সেপ্টেম্বর বেহালার সখের বাজারে ডায়মন্ড হারবার রোডে রাত দখলের কর্মসূচি নিয়েছিলেন একদল তরুণী। আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ জানান তাঁরা। অভিযোগ ওঠে, তাঁরা রাস্তা আটকে প্রতিবাদ করছিলেন। জাতীয় সড়ক অবরোধ করায় যানজটের সমস্যা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা ও জাতীয় সড়ক আইনের ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
এই রাত দখলের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে পুলিশি নোটিশ পেয়েছেন আরেক আহ্বায়ক ঠাকুরপুকুরের বাসিন্দা মেঘনা বড়ুয়া। ওই প্রতিবাদী জানান, রাস্তার একটি পাশেই কর্মসূচি হয়েছিল। পুলিশ নিজে ব্যারিকেড করেছিল। এইভাবে প্রতিবাদীদের আটকানো যাবে না। আগামী সাত দিনের মধ্যে তাঁদের পুলিশের সামনে হাজির হওয়ার কথা বলে নোটিস জারি হয়েছে।
পুলিশের অবশ্য দাবি, শহরের যে কোনও রাস্তায় কর্মসূচি করতে গেলে পুলিশের অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু এই রাত দখল কর্মসূচিতে কখনও দেখা গেছে শুধুমাত্র ইমেইল করেই কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। এতে মানুষের সমস্যা হয়েছে। রাস্তা আটকে কর্মসূচি করা যায় না। ব্যাপক যানজট হয়েছে। হয়রানির শিকার হতে হয়েছে মানুষকে। সেই কারণেই মামলা দায়ের করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ জানানোয় বাঁকুড়া জিলা সারদামণি মহিলা মহাবিদ্যাপীঠের ভূগোল বিভাগের দুই ছাত্রীকে ক্লাস থেকে বার করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই কলেজে ভূগোলের বিভাগীয় প্রধান শ্যামল সাঁতরার বিরুদ্ধে, যিনি আবার রাজ্যের শাসকদলের নেতা এবং প্রাক্তন মন্ত্রীও বটে। শ্যামল সাঁতরার বিরুদ্ধে কলেজে ‘থ্রেট কালচার’ চালানোর অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন ছাত্রীদেরই একাংশ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন