দেব যখন মিঠুন চক্রবর্তীর প্রশংসা করেন, তখন দল কেন পদক্ষেপ নেয় না? তাঁকেই কেন বারবার অগ্নিপরীক্ষা দিতে হবে? তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদকের পদ থেকে অপসারিত হতেই ক্ষোভে ফুঁসে উঠলো কুণাল ঘোষ। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনি।
বুধবার বিকেলে বিবৃতি জারি করে কুণাল ঘোষকে দলের রাজ্য সম্পাদকের পদ থেকে সরিয়েছে তৃণমূল। এর এক ঘণ্টা পরই সাংবাদিক বৈঠক করেন কুণাল। সেখানে তিনি দাবি করেন, তিনি অনেক আগেই ওই পদ ছাড়তে চেয়ে দলীয় নেতৃত্বের কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের নামের পাশ থেকে ওই পরিচয়ও মুছে দিয়েছেন তিনি। যে পদ তিনি চাইছেনই না, তা থেকে তাঁকে সরানোর অর্থ কী, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কুণাল।
তাপস রায়ের প্রশংসা প্রসঙ্গে বলেন, "তাপস রায়ের সঙ্গে আমি দীর্ঘদিন রাজনীতি করেছি। এক দলে ছিলাম। এখন উনি অন্য দলে চলে গিয়েছেন। তা বলে কি রক্তদান শিবিরে যদি দেখা হয়, তবে ওঁর সঙ্গে মারামারি করব? যদি তা না করি আমার রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন উঠবে? আমাকে কেন বার বার এই অগ্নিপরীক্ষা দিতে হবে?’’
কুণালের দাবি, তাঁর ভিডিও দেখলেই জানা যাবে তিনি দলের প্রার্থী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়েরও নাম নিয়েছেন এবং তাঁর হয়ে প্রচার করবেন বলেও জানিয়েছেন।
এরপরই দলীয় নেতৃত্বকে উদ্দেশ্য করে তিনি প্রশ্ন করেন, ‘‘যিনি মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন, সেই মিঠুনকে দেব বাবার মতো বলে উল্লেখ করেন, কিডনি দিতে পারেন বলেও জানান। কই তখন তো ক্যুইজমাস্টার জেগে ওঠেন না?" উল্লেখ্য, ক্যুইজমাস্টার বলতে দলের জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েনকে বোঝাতে চেয়েছেন তিনি। কুণালকে তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদকের পদ থেকে অপসারণের বিবৃতিতে ডেরেক ও’ব্রায়েনের সই রয়েছে।
তবে তিনি তৃণমূলেই থাকবেন বলে জানিয়েছেন। কুণালের বক্তব্য, "যাঁরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাঁরা মহান ব্যক্তি, মহানুভব। ঈশ্বর তাঁদের মঙ্গল করুন। আমি তৃণমূলের সাধারণ কর্মী, সাধারণ সৈনিক। আগামী দিনেও তা-ই থাকতে চাই।"
উল্লেখ্য, বুধবার সকালেই এক রক্তদান শিবিরে কুণাল ঘোষ এবং তাপস রায় দুজনেই অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সেখানেই সদ্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া তাপস রায়ের ভূয়সী প্রশংসা করেন কুণাল। এরপর বিকেলেই তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় তৃণমূল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন