প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জামিন পেলেন তৃণমূলের বহিষ্কৃত যুব নেতা কুন্তল ঘোষ। বুধবার কলকাতা হাইকোর্ট শর্তসাপেক্ষ জামিন মঞ্জুর করেছে কুন্তলের। তবে এখনই জেল থেকে ছাড়া পাচ্ছেন না কুন্তল। ইডির মামলায় জামিন পেলেও সিবিআইয়ের দায়ের করা মামলায় জামিন মঞ্জুর হয়নি কুন্তলের।
বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শুভ্রা ঘোষ কুন্তলকে শর্তসাপেক্ষ জামিন দেন। বিচারপতি জানিয়েছেন, কুন্তলকে তাঁর পাসপোর্ট জমা রাখতে হবে। নিম্ন আদালতে শুনানির সময় তাঁকে হাজির থাকতে হবে। আদালতে জমা করতে হবে মোবাইল নম্বর। সেই মোবাইল নম্বর পরিবর্তন করতে পারবেন না কুন্তল। কোনও সাক্ষীকে প্রভাবিত করতে পারবেন না তিনি।
প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে তৃণমূলের তৎকালীন যুব নেতা কুন্তল ঘোষকে গ্রেফতার করে ইডি। কুন্তলের বিরুদ্ধে চাকরী দেওয়ার নামে ১৯ কোটি টাকা তোলার দাবি করেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের ‘ঘনিষ্ঠ’ তথা নিয়োগ মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত তাপস মণ্ডল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই ২০২৩ সালের ২১ জানুয়ারি প্রায় ২৪ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি অভিযানের পর হুগলির যুবনেতা কুন্তলকে গ্রেফতার করে ইডি।
এর আগে জামিন চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কুন্তল ঘোষ। কিন্তু শীর্ষ আদালত মামলাটি হাইকোর্টের কাছেই ফেরত পাঠিয়ে দেয়। কিছুদিন আগে হাইকোর্টে শুনানিতে কুন্তলের আইনজীবী সওয়াল করেন, প্রাথমিকের মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত মানিক ভট্টাচার্য জামিন পেয়ে গিয়েছেন। তাই তাঁর মক্কেলেরও জামিন মঞ্জুর করা হোক। যদিও সেই সময় ইডির তরফ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়।
ইডির আইনজীবী আদালতে জানিয়েছিলেন, গ্রেফতারীর পরে কুন্তলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দেড় কোটি টাকার বেশী ঢুকেছে বলে তথ্য আছে। যদিও সেই টাকার উৎস সম্পর্কে উপযুক্ত তথ্য দিতে পারেন নি অভিযুক্ত। ইডির আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি বলেছিলেন, ‘মানিক জামিন পেয়েছেন বলে কুন্তলও পাবেন, এই যুক্তি ঠিক নয়।মানিককে শুধুমাত্র ইডি গ্রেফতার করেছিল। তাঁকে সিবিআই গ্রেফতার করেনি। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৪৭৯(২) ধারায় বলা রয়েছে, কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে একের বেশি মামলা বিচারাধীন থাকলে জামিন প্রযোজ্য হবে না। নিয়োগ দুর্নীতিতে কুন্তলের বিরুদ্ধে একের বেশি মামলা রয়েছে।’
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন