কাটমানি ইস্যুতে বিপর্যস্ত রাজ্যের শাসক দল। সমস্ত সরকারি প্রকল্পেই দলীয় নেতাদের বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বারবার। এই পরিস্থিতিতে সদ্য চালু হওয়া লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প নিয়ে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তা সত্ত্বেও জালিয়াতি রুখতে পারেননি তিনি। তাই এবার আরো সতর্ক হলো রাজ্য।
গত ১৬ আগস্ট থেকে দুয়ারে সরকারের মাধ্যমে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের ফর্ম ফিলাপ শুরু হয়েছে। জালিয়াতি রুখতে ফর্মপিছু ইউনিক নম্বর চালু করেছে সরকার। তারপরেও বিভিন্ন জায়গা থেকে অভিযোগ আসছে টাকার বিনিময়ে ফর্ম বিলি করছেন তৃণমূল নেতারা। এমনকি কোথাও কোথাও টাকা পেলে তা থেকে ভাগ দিতে হবে, আবেদনকারীকে এমন হুঁশিয়ারি দিতেও দেখা গিয়েছে তৃণমূল নেতাকে।
দলীয় নেতাদের এই তান্ডব রুখতে ফের নির্দেশিকা জারি করলো সরকার। সোমবার নবান্নের তরফ থেকে জারি করা নতুন নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কোনো পঞ্চায়েত সদস্য বা কোনো ক্লাব লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের ফর্ম তোলা বা পূরণের ক্ষেত্রে কাউকে সাহায্য করতে পারবে না। ফর্ম ফিল আপের ক্ষেত্রে প্রয়োজনে কন্যাশ্রীদের কাজে লাগানো যেতে পারে। এর জন্য কন্যাশ্রী সেল্ফ হেল্প গ্রুপও খোলা যেতে পারে। এমনকি আশা, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদেরও কাজে লাগানো যেতে পারে। গোটা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট জেলাশাসককে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নবান্নের এই নির্দেশে প্রশ্ন উঠছে তাহলে কী নিজের দলের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের ভরসা করছেন না মুখ্যমন্ত্রী? আবার অন্য একাংশের মতে এর সাহায্যে এক ঢিলে দুই পাখি মারতে চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এক, জনগণের সামনে নিজের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি বজায় রাখা। দুই, কন্যাশ্রীদের কাজে লাগিয়ে নিজের কন্যাশ্রী প্রকল্পের প্রচার।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন