আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে উত্তাল গোটা রাজ্য। প্রশ্ন উঠছে পুলিশ, রাজ্য প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে। এই আবহে কলকাতা পুলিশের চাকরী ফেরালেন প্রয়াত ট্রাফিক সার্জেন্টের স্ত্রী ঝর্ণা দত্ত। আর জি কর কাণ্ডের জেরেই এই সিদ্ধান্ত বলে তিনি পুলিশ কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন।
উলেক্ষ্য, ২০২৩ সালের ২৫ আগষ্ট উত্তর কলকাতার কাশীপুরে কলকাতা পুলিশের সেকেন্ড ব্যাটেলিয়ান আবাসন থেকে সৌরভ দত্তের পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়। সেই সময় তিনি ইস্ট ট্রাফিক গার্ডে কর্মরত ছিলেন। পুলিশের পক্ষ থেকে আত্মহত্যা বললেও, পরিবারের পক্ষ থেকে খুনের দাবি করা হয়েছিল। সেই পরিস্থিতিতে কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে নিয়মমতো ঝর্ণা দত্তকে চাকরির আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল।
ঝর্ণা দত্ত পেশায় একজন লেখিকা। তিনি সেই সময় জানিয়েছিলেন, চাকরিটি যেন তাঁর মেয়ের জন্য সংরক্ষিত থাকে। কিন্তু আর জি কর কাণ্ডের আবহে নিজের মেয়ের জন্য সেই চাকরী নেবেন না তিনি বলে জানালেন।
বৃহস্পতিবার সংবাদ মাধ্যমে ঝর্ণা জানান, "আমি আগেই চাকরী প্রত্যাখান করেছি। নিজের মেয়ের জন্য সংরক্ষিত রাখার অনুরোধ করেছিলাম। ভেবেছিলাম মেয়ে সাবালিকা হলে বাবার চাকরী পাবে। কিন্তু চলতি আবহে সেই সিদ্ধান্ত থেকেও সরে এলাম। নীতি-আদর্শ জলাঞ্জলি দিয়ে, মেয়েকে চাকরী করতে পাঠাতে পারব না।“
ঝর্ণা দত্ত অভিযোগ করেন, “আত্মহত্যা বলে সৌরভের মৃত্যুকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। তাঁর মৃত্যুর পিছনে কে বা কারা ছিল তা এখনও জানা যায়নি। আর জি কর ঘটনাও ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। আত্মহত্যা বলে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে।“
এরপরেই কলকাতা পুলিশের উপর ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি বলেন, “পুলিশের উর্দিকে আমি সম্মান করতাম। এই উর্দি ছিল আমাদের পরিবারের তীর্থস্থান। আমাদের অন্ন জোগাত এই উর্দি। অত্যন্ত যত্ন নিয়ে এই উর্দি পরিস্কার করতাম। তাতে এখন কালো দাগ লেগেছে। এখানে মেয়েকে চাকরী করতে পাঠাতে পারব না।“
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন