বিচারপতির বদলি সংক্রান্ত বিষয়ে তড়িঘড়ি আদালতে হাজিরা দিলেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। বুধবার বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলি তাঁকে ৩০ মিনিটের মধ্যে আদালতে সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দেন।
আজ বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলি সিবিআই আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারপতি অর্পণ চট্টোপাধ্যায়ের বদলি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বিচারবিভাগের সচিবের কাছে বিচারপতি গাঙ্গুলি জানতে চান এখনও কেন বদলির নির্দেশ এখনও কার্যকর করা হয়নি? বিচারবিভাগের সচিব আদালতে জানান, বিচারকের বদলির ফাইল ২৫ অগাস্ট থেকে আইনমন্ত্রীর কাছে রয়েছে। তাঁর কাছ থেকে এখনও সেই ফাইল না মেলায় কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা সম্ভব হচ্ছে না। এরপরই বিচারপতি গাঙ্গুলি আইনমন্ত্রীকে তলব করেন।
বিচারপতির দেওয়া নির্ধারিত সময়ের ৫ মিনিট আগে অর্থাৎ ২৫ মিনিটেই আইনমন্ত্রী আদালতে পৌঁছে যান। মলয় ঘটককে দেখে বিচারপতি বলেন, 'আপনাকে দেখে আমি খুশি হলাম'। মলয় ঘটক আদালতে বলেন, 'আমি হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। ৪ দিন আগে ছাড়া পেয়েছি। চিকিৎসক ১৫ দিন বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। আমাকে ৬ অক্টোবর পর্যন্ত সময় দেওয়া হোক। আমি সমস্ত ফাইল দেখে পদক্ষেপ নেবো। আইনমন্ত্রীর আবেদনে সায় দিয়ে বিচারপতি ৬ অক্টোবর পর্যন্ত সময় দেন।
প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতিতে হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই আধিকারিকদের নিয়ে সিট গঠন হয়েছিল। কিন্তু সিটের সদস্যরা অভিযোগ করেন কুন্তল ঘোষের চিঠি সংক্রান্ত মামলায় তাঁদের বার বার অসহযোগিতার মুখে পড়তে হচ্ছে। এই অভিযোগ শোনার পর সিবিআই আদালতের বিচারপতি অর্পণ চট্টোপাধ্যায় কলকাতা পুলিশের আধিকারিক ও সিবিআই আধিকারিকদের যৌথভাবে তদন্তের নির্দেশ দেন। তাতেই আপত্তি বিচারপতি গাঙ্গুলির। তাঁর যুক্তি, নিম্ন আদালতের বিচারপতি হয়ে হাইকোর্টের নির্দেশে হস্তক্ষেপ করলেন কীভাবে?
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন