তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সাথে যুক্ত হতে না চাওয়াও কলেজ পড়ুয়াকে বেধড়ক মারধর! এমনই অভিযোগ উঠল দক্ষিণ কলকাতা আইন মহাবিদ্যালয়ের টিএমসিপির বিরুদ্ধে। এমনকি, ছেলেকে বাঁচাতে গেলে মা, বাবার উপরেও মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
আক্রান্ত পড়ুয়া আইনের প্রথম বর্ষের ছাত্র। সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তাঁর অভিযোগ, কলেজে তৃণমূল করতে না চাওয়ায় দীর্ঘদিন যাবৎ তিনি নেকনজরে ছিলেন। কারণ, তাঁকে ভাইস প্রিন্সিপাল আগেই বলেছিলেন, এই কলেজে কোনও ইউনিয়ন নেই। গত শুক্রবার কলেজে ক্লাস চলাকালীন তাঁকে ডেকে নিয়ে গিয়ে ধাক্কাধাক্কি করা হয়। এরপর কসবা থানায় গিয়ে এই ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
আক্রান্ত পড়ুয়া আরও জানান, কসবা থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে তাঁকে পুরো বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব দেয় পুলিশ। কিন্তু তাও তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর গতকাল (বুধবার) মা-বাবাকে নিয়ে কলেজে আসেন তিনি। সেই সময় কলেজে উপস্থিত ছিলেন বজবজের তৃণমূল বিধায়ক তথা দক্ষিণ কলকাতা আইন মহাবিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতির সভাপতি অশোক দেব।
পড়ুয়া জানান, অশোকের সামনেই তাঁকে ফের ইউনিয়নের ছেলেমেয়েরা এসে মারধর শুরু করে। ছেলেকে বাঁচাতে এসে আক্রান্ত হন তাঁর বাবা-মা। বুধবার রাতেই পুনরায় ঘটনাটি বিস্তারিত লিখে কসবা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই পড়ুয়া।
তবে তৃণমূল বিধায়কের দাবি, তিনি উপস্থিত থাকাকালীন এই ধরণের কোনও ঘটনাই ঘটেনি। মূল ঘটনাটি বিস্তারিত জানার জন্য তিনি খোঁজ নেবেন। অন্যদিকে, কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল নয়না চট্টোপাধ্যায় জানান, কলেজে পঠনপাঠনের কোনও পরিবেশ নেই। পরিচালন সমিতির সভাপতি এক তরফা সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। পরিচালন সমিতির সহযোগিতা না পেলে আমি এই পদে থাকতে চাই না।
কলেজের টিএমসিপির শাখা সম্পাদক দেবলীনা দাসের দাবি, টিএমসিপি করার জন্য চাপ দেওয়ার কোনও ঘটনাই ঘটেনি। এখানে কাউকে টিএমসিপি করার জন্য চাপ দেওয়া হয় না। ছেলেটি একটি মেয়েকে বিরক্ত করেছিল। কলেজের অন্য ছাত্ররা তাঁকে বারণ করে। তা নিয়ে গোলমাল হওয়ার পর মিটমাটও হয়ে গিয়েছিল। এখন এসব কথা কেন বলা হচ্ছে বুঝতে পারছি না।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন