DYFI কর্মীর মৃত্যু ঘিরে ফুঁসছে বাম শিবির। বামেদের অভিযোগ গত ১১ ফেব্রুয়ারি ছাত্র যুবদের নবান্ন অভিযান ঘিরে পুলিশ যে নির্মম আচরণ করেছিলো তার জেরেই মইদুলকে প্রাণ দিতে হল। ঘটনার দিন পুলিশ মইদুলকে নির্মম ভাবে লাঠিপেটা করে। গুরুতর আহত হয় মইদুল। এরপরেই তাঁকে ডাঃ ফুয়াদ হালিমের নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় গতকাল রাতে তাঁকে অন্য এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই আজ ভোরে মইদুল ইসলাম মিদ্যার মৃত্যু হয়।
এস এফ আই রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য জানান - এই মৃত্যু কোনোভাবেই মানা হবে না। এর আগে সুদীপ্ত গুপ্তকেও এভাবেই মেরেছিলো পুলিশ। গত ১১ ফেব্রুয়ারি ছাত্র যুবদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে যেভাবে পুলিশ বিনা প্ররোচনায় হামলা চালিয়েছে তার জন্য কোনো নিন্দাই যথেষ্ট নয়। আমরা দোষী পুলিশ অফিসারের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। সাড়ে তিনটের সময় দীনেশ মজুমদার ভবন থেকে মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে। আজ এবং আগামীকাল রাজ্যজুড়ে থানা ঘেরাও করা হবে।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে সিপিআই(এম) নেতা শমীক লাহিড়ী সংবাদমাধ্যমে জানান - এ তো ঠান্ডা মাথায় খুন। সেদিন যখন ওনাকে ফুয়াদ হালিমের নার্সিংহোমে আনা হয়েছিলো আমি তখন সেখানে ছিলাম। ভালো করে তিনি কথা বলতে পারছিলেন না। সেদিন ও পরে যাবার পরেও ওকে লাঠি দিয়ে মারা হয়েছে। পুলিশ বুকে পেটে লাথি মেরেছে। কোনো সভ্য দেশের পুলিশ এ কাজ করতে পারে। এ তো খুন। পুলিশের বিরুদ্ধে খুনের মামলা করতে হবে। এ রাজ্যে গণতন্ত্র নেই। কোনোভাবেই এই ঘটনা মেনে নেওয়া যায়না।
এই প্রসঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান জানান - একটা প্রতিবাদকে গণ আন্দোলনকে দমন করতে গিয়ে যে স্বৈরাচারী পদক্ষেপ নিলো রাজ্য সরকার তার নিন্দার কোনো ভাষা নেই। একজন নিরীহ মানুষের প্রাণ চলে গেল। এর জবাব সরকার কী দেবেন? জনরোষ যত তীব্র হচ্ছে এই সরকার তত ভয়ঙ্কর হচ্ছে।
বাঁকুড়ার কোতুলপুরের বাসিন্দা মইদুল পেশায় অটোচালক ছিলেন। চিকিৎসক ডাঃ ফুয়াদ হালিম সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন তার শরীরে একাধিক লাঠির আঘাতের চিহ্ন ছিলো। লাঠির আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় কিডনি, ফুসফুসে জল জমতে শুরু করে বলেও তাঁর অভিযোগ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন