সামনে পুরসভা নির্বাচন। ওই ভোটে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট হবে কিনা, তা নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি বামেরা। তবে বামেদের শীর্ষ নেতৃত্ব একতরফাভাবে এই ইস্যুতে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে চায় না। প্রথমে এই ব্যাপারে জেলা নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে তাঁদের মতামত জানা হবে। তারপর আগামী সপ্তাহে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমনটাই জানিয়েছেন। সিপিএমের প্রকাশনা সংস্থা ন্যাশনাল বুক এজেন্সির ই-কমার্স বিপণন ব্যবস্থার উদ্বোধনের পরও একই কথা বলেন তিনি।
পুরভোট হওয়ার কথা ছিল গত বছর। কিন্তু করোনা অতিমারিতে তা স্থগিত হয়ে যায়। তখন দু'পক্ষের মধ্যে আসন নিয়ে প্রায় ৮০ শতাংশ আলোচনা হয়ে গিয়েছিল। তারপর গত দেড় বছরে রাজনৈতিক পরিস্থিতির আমূল বদলেছে। গত বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে লড়াই করে বামেরা। কিন্তু প্রাপ্তির ঝুলি শূন্য ছিল।
কিন্তু উপনির্বাচনে পরিস্থিতি কিছুটা বামেদের পক্ষে যায়। শান্তিপুরের বাম প্রার্থী ২০ শতাংশ ভোট পায়। তা নিয়েই পুরভোটে লড়াই করার স্বপ্ন দেখছে বামফ্রন্ট। এই পরিস্থিতিতে জেলাস্তরের নেতৃত্ব কোথায় কী চাইছে, তা জানতে হবে।
উপনির্বাচনের ফলাফলে যেহেতু হাওয়া কিছুটা বদলেছে, তাই নিজেরা কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করার ব্যাপারে এগোতে চাইছে না লাল ব্রিগেড। আবার উল্টোদিকে কংগ্রেস জোট করতে চাইলে তাদের একেবারে দূরে ঠেলে সরিয়ে দেওয়া হবে না। তাই জেলা পর্যায়ে দলের নেতৃত্বকে স্থানীয় কংগ্রেসের মনোভাব সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সূত্রের খবর, রাজ্য কমিটির বৈঠকে এই নিয়ে আলোচনা হতে পারে। পাশাপাশি পুরভোটের কৌশল সম্পর্কেও আলিমুদ্দিন আলোচনা করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সেখান থেকে আসল চিত্রটা জানা যাবে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।
প্রদেশ কংগ্রেস নেতা তথা সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, পুর বা পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে রাজ্যস্তরের নেতৃত্ব চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয় না। এবারেও তাই দলের রণকৌশল কী হবে, তা নিয়ে জেলা পর্যায়ের নেতৃত্বকেই ঠিক করতে বলা হয়েছে। জেলা নেতৃত্বের মতামত জেনেই বলা যাবে, বামেদের সঙ্গে কোথায় কতটা জোট করা সম্ভব। তিনি অবশ্য জোটের পক্ষে মত প্রকাশ করেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন