আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে একসাথেই লড়ছে বাম-কংগ্রেস। আজ আলিমুদ্দিন স্ট্রীটে দু-পক্ষের বৈঠকে আসন সমঝোতা চূড়ান্ত হওয়ার পর সাংবাদিক বৈঠকে একথা নিশ্চিত করেছে বাম-কংগ্রেস। তবে কে কত আসনে লড়বে, তা এখনই প্রকাশ করতে চাইছেন না অধীর চৌধুরী বা বিমান বসুরা। তাঁদের দাবি, অনেক ছোট ছোট দলই বাম-কংগ্রেস জোটের শামিল হতে চাইছে।
বিধানসভা নির্বাচনে আসন ভাগাভাগি চূড়ান্ত করতে আজ বৈঠক ডাকা হয় আলিমুদ্দিন স্ট্রীটে। সেই বৈঠকে বামেদের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্র ও মহম্মদ সেলিম। অপরদিকে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অধীর চৌধুরী, আব্দুল মান্নান, নেপাল মাহাতো। বৈঠকের পর উভয় দলের তরফ থেকে জানানো হয়, সব অপপ্রচার ব্যর্থ করে বাম-কংগ্রেস সমঝোতা চূড়ান্ত। ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট বা আইএসএফ সহ একাধিক দল জোটে আস্থা প্রকাশ করছে।
বাংলায় বাম-কংগ্রেস জোটের প্রধান বিরোধী হল সাম্প্রদায়িক শক্তি। ধর্মনিরপেক্ষতা রক্ষায় ছোট দলগুলো ভোটে লড়তে চাইছে। তাই এই দলগুলোর জন্য কিছুটা জায়গা ছাড়া হবে। উল্লেখ্য, আইএসএফ ছাড়াও এই ছোট দলগুলোর মধ্যে রয়েছে - রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি), জনতা দল সেক্যুলার (জেডিএস), ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি)। যদিও আইএসএফের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জোটে থাকা নিয়ে বুধবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে তারা।
আসন রফা প্রসঙ্গে সাংবাদিক বৈঠকে অধীর চৌধুরী বলেন, "তৃণমূল-বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রথম পদক্ষেপ সফল। আমাদের মধ্যে আসন বন্টন নিয়ে চূড়ান্ত হয়েছে। কত আসন ছাড়া হবে তা এখনই ঘোষণা নয়। বাংলায় দ্বিমুখী নয়, ত্রিমুখী লড়াই হতে চলেছে। রাজ্যে ক্রমশ বাম-কংগ্রেসের শক্তি বৃদ্ধি হচ্ছে। বাম-কংগ্রেসের ওপর আক্রমণ নেমে আসছে। মইদুল ইসলামের মৃত্যু তারই প্রমাণ।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন