আগামী ৪ নভেম্বর রাজপথে বিক্ষোভরত চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন ৬০০ দিনে পড়বে। আর ঠিক সেই দিনই বেলা ২ টোর সময় লেনিন মূর্তি থেকে চাকরিপ্রার্থীদের ধর্নাস্থল পর্যন্ত সুবিশাল মিছিলের ডাক দিল বামফ্রন্ট। এর পাশাপাশি, সারা নভেম্বর মাস জুড়ে বামফ্রন্টের তরফে একাধিক কর্মসূচীর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রাজ্যের সকল হবু শিক্ষক-শিক্ষিকা, গ্রুপ 'সি', গ্রুপ 'ডি', এসএসসি উত্তীর্ণ অবস্থানরত চাকরিপ্রার্থীদের সহমর্মিতা জানাতেই এই মিছিলের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই কর্মসূচীতে কলকাতা, হাওড়া, হুগলী, উত্তর ২৪ পরগণা, দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার সকল বাম নেতৃত্ব এবং কর্মী-সমর্থকদের যোগদান করার আহ্বান জানিয়েছেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। লেনিন মূর্তির সামনে সমবেত হয়ে মিছিল এগোবে ধর্নামঞ্চের দিকে।
সূত্রের খবর, গত মঙ্গলবার রাজ্য বামফ্রন্টের সভায় বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুর কথায়, মূলত বঞ্চিত যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের দ্রুত নিয়োগ, রাজ্যের বিভিন্ন পঞ্চায়েতগুলিতে দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া সহ একাধিক দাবিতে সারা রাজ্যজুড়ে আন্দোলনে নামবে বামফ্রন্ট।
বঞ্চিত যোগ্য প্রার্থীদের চাকরি দেওয়ার প্রশ্নে অবিলম্বে শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন বাম নেতৃত্ব। পাশাপাশি, অযোগ্য প্রার্থীদের চাকরি বাতিল সহ বেআইনি নিয়োগের সাথে যুক্ত প্রত্যেকের কড়া শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে।
বিমান বসুর কথায়, বিধাননগর করুণাময়ীতে অনশনরত চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যরাতে যে বর্বোরচিত কায়দায় পুলিশ গ্রেফতার করেছে, আমরা তার তীব্র নিন্দা জানাই। ভবিষ্যতের শিক্ষকদের উপর যে আচরণ করা হয়েছে তা এক কথায় জঘন্য, নিন্দনীয়। যারা ২০১৪ বা ২০১৭ সালে টেট পাশ করেছেন তাঁদের এখনও কেন রাস্তায় থাকতে হবে?
তিনি আরও বলেন, মাঝেমধ্যেই শাসক দলের মুখপাত্ররা কোর্ট কেসের অজুহাত দেখিয়ে বিক্ষোভরত প্রার্থীদের চাকরি দেওয়া যাবে না বলে সাফাই দিচ্ছেন। অথচ কোর্ট কেস তো শুরু হয়েছে ২ বছর আগে। তাহলে ৫ বছর বা ৮ বছর আগে যারা পাশ করেছেন তাঁদের এখনও নিয়োগ হয়নি কেন? যাদের বয়স পেরিয়ে যাচ্ছে, তাঁদের কী অপরাধ? এই সব প্রশ্নের জবাব সরকারকেই দিতে হবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন