মঙ্গলবার আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে বামেদের মিছিল ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি। রাজাবাজার থেকে শুরু হওয়া মিছিল শ্যামবাজার পৌঁছাতেই আটকে দেয় পুলিশ। রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বাম নেতারা। শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড় কার্যত অবরুদ্ধ।
আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে মঙ্গলবার রাজাবাজার থেকে আরজি কর পর্যন্ত মিছিলের ডাক দিয়েছিল বামফ্রন্ট। মঙ্গলবার বিকালে রাজাবাজার থেকে শুরু হয় বামেদের সেই মিছিল। সিপিআইএম-সহ এই মিছিলে পা মেলাতে দেখা যায় সমস্ত শরিক দলকেই। মিছিলে উপস্থিত ছিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, ডিওয়াইএফআই রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখার্জী, দীপ্সিতা ধর, কলতান দাসগুপ্ত, সুজন চক্রবর্তী, সূর্যকান্ত মিশ্র –সহ বাম কর্মী সমর্থকেরা। মিছিলে হাঁটতে হাঁটতেই বিমান বসু বলেন, এ মিছিল মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত মিছিল।
এদিন বিকালে মিছিল খান্না পর্যন্ত পৌঁছাতেই যেতেই বাধা দেয় পুলিশ। ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেওয়া হয় মিছিল। ব্যারিকেড ভেঙে সামনে এগোনোর চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে ধুন্ধুমার পরিস্থিতিত সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে মিছিল শ্যামবাজার পর্যন্ত আসতেই পুলিশ সেখানেই আটকে দেয় মিছিল। শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ে বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বাম নেতারা। যার ফলে কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে যায় শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়।
আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে রাস্তায় বসে পড়েন বিমান বসু, মহম্মদ সেলিম, মীনাক্ষীরা। দীপ্সিতা ধর জানান, "সন্দীপ ঘোষ তো আরজি করের মাথা নয়। আমরা জানি তাঁর মাথার উপর অনেক বড়ো বড়ো হাত ছিল। সেই কারণে তাঁর উপর কোনো আঁচ লাগেনি।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন