পুরভোটে শাসকদলের বিরুদ্ধে যে বিষয়গুলি বামেদের হাতিয়ার হতে চলেছে, সেগুলি হল শহরের দূষণ, জল জমার সমস্যা, কাটমানির অভিযোগ, বৃক্ষচ্ছেদন, জলাশয় ভরাট, বেআইনি নির্মাণ। শুক্রবারই শ্রমিকের আশ্রয়, কাজের কলকাতা, গ্রিন অ্যাডমিন বা ফিট কলকাতার কথা জানানো হয়েছিল৷
১৯ ডিসেম্বর কলকাতা পুরসভা নির্বাচন। উপনির্বাচনে পায়ের তলায় সামান্য জায়গা পেয়ে কোমর বেঁধে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বামফ্রন্ট৷ এক সপ্তাহ আগেই প্রকাশিত হয় রেজোলিউশন পোস্টার। তা থেকে একগুচ্ছ আশ্বাস মিলেছে। আছে উঠোনে পাঠশালার কথাও।
মোবাইলে ইস্তাহারের সফট কপি ঘুরলেও হার্ডকপি মিলবে পাঁচ টাকায়৷ তৃণমূলের দুয়ারে সরকারের পাল্টা বামেদের হাতিয়ার উঠোনে পাঠশালা। স্কুলছুটদের শিক্ষা সম্পূর্ণ করার পাশাপাশি প্রতিবন্ধকতাযুক্ত মানুষদের জন্য সুব্যবস্থার আশ্বাস অথবা বনস্পতি প্রকল্পে বয়স্কদের জন্য ভলান্টিয়ারদের সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
এছাড়াও রয়েছে:
সব ওয়ার্ডে পুনরায় ওয়ার্ড কমিটি তৈরি হবে।
বস্তি উন্নয়নে অগ্রাধিকার মিলবে।
গরিব, নিম্নবিত্ত মানুষদের পৌরকর, ট্রেড লাইসেন্স, বিভিন্ন পরিষেবা প্রদান, বিদ্যুতের বিলের ক্ষেত্রে সম্ভাব্য ছাড় ও ভর্তুকি দেওয়া হবে।
'এক ব্যক্তি এক পদ' নীতি অনুসরণ করে সর্বক্ষণের মেয়র ও মেয়র পরিষদে নির্বাচন। ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ হবে।
নিকাশি ব্যবস্থার আধুনিক করে গড়ে তোলা হবে।
শহরে সবুজ বাড়ানো হবে। বাড়ির ছাদে বৃষ্টির জল ধরে রাখার ব্যবস্থা করা হবে।
মা ও শিশুদের স্বাস্থ্য, সার্বিক স্বাস্থ্য, স্বনিযুক্তি কর্ম প্রকল্প, স্বল্প সঞ্চয় গ্রুপ ইত্যাদি প্রকল্প পুনরায় শুরু করা হবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন