কলকাতা পুরভোটে একচ্ছত্র আধিপত্য চালিয়েছে রাজ্যের শাসকদল। মোট ১৪৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৩৪টিতে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। বাম ও কংগ্রেস পেয়েছে ২টি করে আসন। বিজেপি ও অন্যান্যরা জিতেছে ৩টি আসনে। আসনের হিসেবে বিজেপি দ্বিতীয় স্থানে থাকলেও ভোট শতাংশের ভিত্তিতে দ্বিতীয় বামেরা। ১২ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছে তারা। দলীয় কর্মীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন নেতৃত্ব।
সিপিআইএমের তরফ থেকে করা সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্য কমিটির সদস্য রবিন দেব বলেন, হুমকি-সন্ত্রাসের মুখে দাঁড়িয়েও যে তিন লক্ষাধিক মানুষ বামপন্থীদের ভোট দিয়েছেন তাঁদের অভিনন্দন। এই নির্বাচন গণতন্ত্রের উৎসব হয়নি, গণতন্ত্রের জয় হয়নি। গণতন্ত্র নিধনের প্রক্রিয়া নতুন মাত্রা পেয়েছে। ২০১১ সালের পর রাজ্যে যে নির্বাচনগুলি হয়েছে, সেখানে যা যা অরাজকতা হয়েছে, সেটা আরও বিকশিত হয়েছে এই নির্বাচনে।
তিনি আরও বলেন, এতো ভোট লুঠ, মানুষ ভোট দিতে পারেনি, তা সত্ত্বেও ২৫ লক্ষ প্রদত্ত ভোটের মধ্যে ১২ শতাংশ ভোট আমরা পেয়েছি। আমাদের কোনো অস্তিত্ব নেই বলা হয়েছিল। অথচ বামপন্থীরা দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে। নিজেদের জায়গা ধরে রেখেছে। আমাদের আরও বেশি করে মানুষের কাছে যেতে হবে।
পুরসভা নির্বাচনে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে সোমবার কমিশনের অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছে বামেরা। হাইকোর্টে মামলাও দায়ের করেছে। এই প্রসঙ্গে রবিন দেব বলেন, কমিশন জানিয়েছে বিরোধীদের তোলা অভিযোগের যা জবাব দেওয়ার তা হাইকোর্টে বিচারপতির সামনে জানাবে তারা। বিচারপতি সুষ্ঠু ভোটের জন্য ডিজি, নির্বাচন কমিশনারকে দায়িত্ব নিতে বলেছিলেন। তাঁরা কিভাবে সেই দায়িত্ব পালন করেছেন তা বিচারপতির সামনেই জানাবেন তাঁরা। ২৩ ডিসেম্বর এই মামলার শুনানি হবে।
ফল ঘোষণার পর বেশ কিছু জায়গায় তৃণমূল কর্মীরা গন্ডগোল করেছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। তিনি বলেন, আইন হাতে তুলে নিচ্ছেন শাসকদলের কর্মীরা। মুখ্যমন্ত্রী, তাঁর দলের নেতারা বলেছিলেন গন্ডগোল করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কতটা ব্যবস্থা নিয়েছেন তাঁরা?
চলতি বছরের মে মাসে হওয়া বিধানসভা নির্বাচনের প্রেক্ষিতে বামেদের ফলাফল ভালো হয়েছে পুরসভা নির্বাচনে। কংগ্রেসের সাথে জোট না হওয়ায় এই ফল কিনা সেই সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে রবীন দেব বলেন, বোঝাপোড়ার জন্য কতটা কী হয়েছে তা আমরা পর্যালোচনা করে পরে জানাবো।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন