সন্দেশখালি কাণ্ডের পর মানুষের পাশে দাঁড়াতে এবার নয়া উদ্যোগ নিল সিপিআইএম। রাজ্যের নির্যাতিত মানুষের পাশে দাঁড়াতে এবার চালু করল 'জনতার কেসবুক'। বুধবার সিপিআই (এম)'র রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বামেদের এই নয়া উদ্যোগের কথা জানান।
বুধবার সেলিম জানান, এই নয়া কর্মসূচিতে রাজ্যের নির্যাতিত সাধারণ মানুষকে অনলাইনে অভিযোগ দায়ের করতে হবে। একটি লিঙ্ক এবং কিউআর কোড দিয়ে মানুষকে অভিযোগ জানাতে হবে। তাতে ক্লিক করে অনলাইনে ফরম পূরণের মাধ্যমে নির্যাতন, জমি লুট, প্রাকৃতিক সম্পদ বা সরকারি সম্পদ লুট, পরিবেশ ধ্বংসের তথ্য জনতার কেসবুকে দায়ের হবে। তবে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, অভিযোগকারীর নাম এবং পরিচয় সম্পূর্ণ গোপন ও নিরাপদ থাকবে।
এবিষয়ে মহম্মদ সেলিম বলেন, “অভিযোগ পেলে আমরা আইনি সাহায্য দেব, রাস্তায় নেমে লড়াই সংগঠিত করে প্রশাসনের ওপরে চাপ সৃষ্টি করব। ইনসাফের জন্য লাল ঝান্ডার কর্মীরা লড়বেন। সাম্প্রদায়িক রাজনীতির জন্য ধর্মের সুড়সুড়ি নয়, প্রত্যেক অপরাধীর শাস্তির জন্য, প্রতিটি বঞ্চনার হিসাব বুঝে নিতে লড়াই হবে শেষতক।“
সেলিম এদিন আরও বলেন, “রাজ্য সরকার এবং পুলিশ প্রশাসন মানুষের কাছ থেকে অভিযোগ নিতেও চায় না, লুট দুর্নীতির তথ্যও প্রকাশ করতে চায় না। সন্দেশখালির মানুষকে তাই ন্যায়বিচার পেতে রাস্তায় নামতে হয়েছে। রাজ্যে এরকম আরও অনেক সন্দেশখালি আছে। সরাসরি মানুষ যাতে নিজেদের এলাকায় লুট, দুর্নীতি, নির্যাতন সম্পর্কে অভিযোগ জানাতে পারেন তার জন্যই আমরা জনতার কেসবুক' চালু করছি।“
দুর্নীতি ও দুষ্কৃতীরাজ বন্ধে রাজ্য সরকারের এবং কেন্দ্রীয় সরকারের ওপরে মানুষের আস্থাহীনতার কথা জানিয়ে সেলিম বলেন, “সিবিআই, ইডি এবং রাজ্য পুলিশ ও সিআইডি এদের ভূমিকা মানুষ দেখে নিয়েছে। এরা চোর দুর্নীতিগ্রস্তদের ডেকে পাঠায়, তারপরে তাদের দল বদল করায়। শাহজাহানকে বাঁচাতে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গেছে কেন? কারণ ২৫-৭৫ ভাগাভাগির জন্য।“
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন