৭৬ দিনের মাথায় ২০২৩ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ হলো। এই প্রথম এত দ্রুত ফল প্রকাশ করেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। যদিও এই বছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা অনেকটাই কম থাকায় দ্রুত ফল প্রকাশের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে বলেই দাবি পর্ষদের।
মাধ্যমিক ২০২৩ সালে প্রথম হয়েছে কাটোয়া দুর্গাদাস চৌধুরানি গার্লস স্কুলের ছাত্রী দেবদত্তা মাঝি। ৭০০-র মধ্যে দেবদত্তা পেয়েছে ৬৯৭। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ২ জন। বর্ধমানের শুভম পাল এবং মালদহের রিফাত হাসান সরকার। তারা পেয়েছে ৬৯১। তৃতীয় স্থানে রয়েছে ৬ জন। চতুর্থ স্থানে রয়েছে ৪ জন। পঞ্চম স্থান অধিকার করেছে ৯ জন। ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে ১১ জন। সপ্তম স্থানে আছে ১৯ জন। ১৫ জন দখল করেছে অষ্টম স্থান। নবম স্থান অধিকার করেছে ১৭ জন। দশম স্থানে রয়েছে ৩৪ জন।
মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ৬০ শতাংশের বেশি নাম্বার পেয়েছে ১৩.৬৭ শতাংশ পরীক্ষার্থী। ১৬টি জেলা থেকে ১১৮ জন মেধাতালিকার প্রথম দশে জায়গা করে নিয়েছে। মালদহে থেকে ২১ জন, পূর্ব বর্ধমান থেকে ১৭ জন, বাঁকুড়া ১৪ জন, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ১৩ জন, পূর্ব মেদিনীপুর ১১ জন, উত্তর ২৪ পরগনা ৯ জন, পশ্চিম মেদিনীপুরে ৯ জন, পুরুলিয়ায় ৬ জন হুগলি থেকে ৫ জন, হাওড়া থেকে ৪ জন, কোচবিহার থেকে ৩ জন, বীরভূমের ২ জন এছাড়া দক্ষিণ দিনাজপুর, ঝাড়গ্রাম, নদীয়া এবং জলপাইগুড়ি থেকে একজন করে প্রথম দশে জায়গা পেয়েছে। কলকাতার স্থান প্রথম দশে হয়নি।
মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সভাপতি আরও জানিয়েছেন, মোট ৪৪ হাজার শিক্ষক পরীক্ষার্থীদের খাতা দেখেছে। ২০ জন পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিল হয়েছে। এছাড়া যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ২ জনের রেজাল্ট স্থগিত রাখা হয়েছে।
জেল ভিত্তিক পাসের হারে শীর্ষে পূর্ব মেদিনীপুর (৯৬.৮১%)। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কালিম্পং (৯৪.১৩%), তৃতীয় স্থানে কলকাতা (৯৩.৭৫%) এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে পাসের হার ৯২.১৩%। গোটা রাজ্যে পাসের হার ৮৬.১৫%।
উল্লেখ্য, গত বছর রাজ্যে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল ১০ লাখ ৯৮ হাজার ৭৭৫ জন। ওয়েস্ট বেঙ্গল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশনের তথ্য অনুসারে এই বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে ৬ লক্ষ ৩৭ হাজার ১০৫ জন। তাদের মধ্যে পাশ করেছে ৫ লক্ষ ৪৮ হাজার ৯০৯ জন। চলতি বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়েছিল ২৩ ফেব্রুয়ারি। পরীক্ষা শেষ হয় ৪ মার্চ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন